বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে পঞ্চপাণ্ডবের যুগ প্রায় শেষের পথে। মাশরাফির যুগ তো অনেক আগেই শেষ। তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহিম অবসর নিয়েছেন। আর মাহমুদ উল্লাহ অপেক্ষায় থাকলেও তাকে বিশ্বকাপ দলে নেওয়া
হয়নি। পঞ্চপাণ্ডবের প্রতিনিধি হিসেবে একমাত্র অধিনায়ক সাকিব আল হাসানই আছেন। সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে সামনের সিরিজ ও টুর্নামেন্টগুলোতে তরুণদের দায়িত্ব নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিলেন
টি-টোয়েন্টির সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নুরুল বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র যারা আছেন, তাদের অবদান আমাদের ক্রিকেটে অন্য রকম।
ওনারা আমাদের একটা জায়গায় নিয়ে গেছেন। এখন পরের প্রজন্মে আমরা যারা আছি, তাদের কাজ হলো এ অবস্থা থেকে আরো এগিয়ে যাওয়া। কিভাবে সামনে নিয়ে যেতে পারব, সেটিই
তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব। আমরা অনেকেই হয়তো পাঁচ-ছয় বছর ধরে খেলেছি, অনেক বেশি পরিণত সবাই। ’ দলের প্রায় সবারই যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কমবেশি অভিজ্ঞতা আছে, তাই নিজের দায়িত্ব পালনে তাগিদ দিলেন
সহ-অধিনায়ক, ‘ঘরোয়াতে অনেক ম্যাচ খেলেছি। বিশ্বকাপ হয়তো অনেকের জন্য প্রথম। তবে বাংলাদেশের হয়ে খেলা সবার জন্যই গর্বের ব্যাপার। বাংলাদেশের হয়ে জেতার জন্যই নামে সবাই। দল হিসেবে আমরা যদি খেলতে পারি,
আগে থেকে ফল নিয়ে না ভেবে যদি প্রক্রিয়াটা করতে পারি, তাহলে ভালো কিছু আসবে। সবাই নিজের দায়িত্বটা পালন করতে পারলে সাকিব ভাইয়ের জন্যও ভালো হবে। টি-টোয়েন্টিতে হারতে হারতে
বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাসও এখন তলানিতে। এ বছর ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলে জয় এসেছে মাত্র দুটিতে। দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে জয়ের বিকল্প নেই বলে
জানালেন নুরুল। যখন একটা দল জেতার অবস্থায় থাকে, তখন দলের পরিবেশ বদলে যায়। আমরা ক্লোজ কিছু ম্যাচ হেরেছি, যেহেতু পরাজিত দলে ছিলাম, এটি অনেক সময় আতঙ্কিত করে তোলে। আমরা এক-দুইটা
ম্যাচ জিতলে এ জায়গা থেকে উন্নতি হবে। অবশ্যই আমরা বিশ্বাস করি, আমরা দল হিসেবে ভালো। কিন্তু সেরাটা হয়তো দিতে পারছি না, তবে জয়ের পথে ফিরলেই আমরা উন্নতি করতে পারব।