বাংলাদেশের যে কয়জন সাবেক ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন, তাদের প্রায় সবাই মাঠের বাইরে থেকে ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। এখানে একমাত্র ব্যাতিক্রম ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি মাঠ থেকেই আন্তর্জাতিক
টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছিলেন। তবে ম্যাশের দেখানো এই পথে হাঁটতে পারেননি সদ্য আর্ন্তজাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলা মুশফিকুর রহিমও। গুঞ্জন আছে, এই ফরম্যাটকে বিদায়
বলতে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যদি তিনি এমন সিদ্ধান্তই নেন তাহলে তাকে মাঠ থেকে বিদায় দিতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), এমনটাই জানিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। ১৫ বছরের
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের হয়ে ১২১ ম্যাচ খেলেছেন রিয়াদ। ২৩.৫৭ গড়ে বাংলাদেশের সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের রান ২ হাজার ১২২। তবে রিয়াদ যে পজিশনে
ব্যাটিং করেন সেখানে গড়ের চেয়ে স্ট্রাইক রেটটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেখানেও বিবর্ণ তিনি। ফিনিশার হিসেবে খেলা রিয়াদ রান তুলেছেন ১১৭.৩০ স্ট্রাইক রেটে। বয়স যত বেড়েছে বড় শট খেলার প্রবণতা
ততই কমেছে রিয়াদের। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৬ টি-টোয়েন্টিতে ১৮.৪ গড়ে ২৬১ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। স্ট্রাইক রেট ১০১.৫৫। এই পরিসংখ্যান আধুনিক
সময়ের ফিনিশারের সঙ্গে বড্ড বেমানান। পাপন বলেন, ‘যদি তার (টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট) অবসর নিতেই হয় বা তাকে স্কোয়াডে সুযোগ দিতে না পারি তাহলে অবশ্যই তাকে অন্তত এতটুকু সু্যোগ (মাঠ থেকে অবসর নেয়ার) দেয়া উচিত। এইটুকু
সম্মান দেয়া উচিত। কারণ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবদান খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বহু ম্যাচ জিতিয়েছে আমাদের।’ সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে ব্যর্থ ছিলেন মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিংয়ের
পাশাপাশি গ্লাভস হাতেও সমালোচিত হয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। আরব আমিরাতের ব্যর্থ মিশন শেষে দেশে ফেরার পরই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিক।
পাপন বলেন, ‘মুশফিক অবসর (মাঠের বাইরে থেকে) নিয়েছে, এটাতো আমাদের কাছে খারাপ লাগে। কারণ আমিতো শেষ দিন পর্যন্ত বলে যাচ্ছি, মুশফিক আমাদের সেরা ব্যাটার।