গত দুইদিন ধরেই ঢাকায় বৃষ্টি চলছে। বুধবার সকাল থেকেও কাঁদছে মিরপুরের আকাশ।বৃষ্টিস্নাত ঠান্ডা দিনেও বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে চাপা উত্তাপ রয়েছে। অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান
ঘটবে আজ। বুধবার দুপুর আড়াইটার সংবাদ সম্মেলনে জানা যাবে ১৫ স্বপ্ন সারথীর নাম। কারা হবেন ১৫ ভাগ্যবান ক্রিকেটার। আজ মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু
অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের দলটা ঘোষণা করবেন। নির্বাচকদের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরণ শ্রীরাম।
কেমন হচ্ছে বিশ্বকাপের দল, কোনো চমক থাকছে কিনা? অনেক আলোচনা, বিতর্ক, প্রশ্ন শেষে কারা থাকছেন ১৫ সদস্যের দলে। তা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহের অন্ত নেই।
সংবাদ সম্মেলনের আগেই এটুকু অন্তত বলা যায় যে, নির্বাচকদের দলটাতে ৮-১০ জনের জায়গা আগেই পাকা রয়েছে। এ তালিকায় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, আফিফ হোসেন,
মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ রয়েছেন। দ্বিতীয় বাঁহাতি স্পিনার কোটায় নাসুম আহমেদও হয়তো দলে টিকে যাবেন। তবে সমীকরণ মেলানো, কম্বিনেশন তৈরি, বিতর্ক
এড়ানো, ভারসাম্য তৈরির চ্যালেঞ্জটা রয়েছে নির্বাচকদের সামনে। ওপেনিংয়ে চিন্তাটা নানামুখী হয়ে আছে। নিয়মিত ওপেনার নাকি মেকশিফট, আবার নিয়মিত ওপেনার হলে সেখানে কি লিটন দাস আছেন? তরুণ পারভেজ হোসেন ইমন বাদ
পড়ছেন বলেই জানা গেছে। আলোচনায় আছে সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্তর নাম। দুজন অনুশীলনেও ছিলেন। বলা বাহুল্য দুজনেরই পারফরম্যান্স বলতে কিছু নেই।
লিটনকে মিডল অর্ডারে নামালে সৌম্য-শান্তর মধ্যে একজন দলে টিকে যাবেন। আবার যদি দুজনই সুযোগ না পান তবে ওপেনারের বিবেচনায় মিরাজ, সাব্বিরই এগিয়ে থাকবেন।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে আলোচনার বিস্তর বিষয় রয়েছে। ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে বিশ্বকাপ দলে নেয়া হবে কিনা তা নিয়ে গতকাল রাত অব্দি আলোচনা হয়েছে। সমাধান নির্বাচকরা পেয়েছেন কিনা, তা দুপুরেই জানা যাবে।
মাহমুদউল্লাহর কারণে বাদ পড়ার হুমকিতে আছেন দুই তরুণ শেখ মেহেদী, ইয়াসির আলী রাব্বি। যার মধ্যে শেখ মেহেদী টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত মুখ। অফস্পিনিং অলরাউন্ডার তিনি।
কিন্তু ইতোমধ্যে স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে মিরাজ আছেন দলে, মোসাদ্দেকও আছেন। মাহমুদউল্লাহও একই ঘরনার। শেষ অব্দি মাহমুদউল্লাহ থাকলে শেখ মেহেদী, ইয়াসিরের দলে থাকা খুবই কঠিন।
অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে দলে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারও আবশ্যকই বটে। কিন্তু সাইফউদ্দিনের ম্যাচ ফিটনেস নিয়ে সন্দেহ রয়েছে সবার। বোলিংয়েও তিনি ছন্দে নেই। তার ভালো বিকল্প হতে পারেন তরুণ বাঁহাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। শ্রীরামের ক্যাম্পেও ছিলেন এই তরুণ।
সুযোগ পেলে একমাত্র মৃত্যুঞ্জয় হতে পারেন বিশ্বকাপ দলের সবচেয়ে বড় চমক। পেস বোলিংয়ে মুস্তাফিজ, তাসকিনের সঙ্গে এবাদত হোসেন ও শরীফুল ইসলামের নামই আলোচনায় রয়েছে। ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে পারলে হাসান মাহমুদও দলে ফিরতে পারে