ম্যাচ জিততে পারলেও সমর্থনের দিক থেকে বাংলাদেশের কাছে হেরে গেছে আফগানিস্তান, মনে করেন নবী। বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির বসবাস সংযুক্ত আরব আমিরাতে। মরুদেশে হাড়ভাঙা খাটুনিতে দেশ এবং পরিবারের সুদিন আনতে নিরলস প’রিশ্রম করে যান
তারা। নিজের জন্য সময় পান খুবই কম। তবু মাটির টানে ছুটে যান খেলা দেখতে। শারজায় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে গ্যালারি ভর্তি ছিল বাংলাদেশি সমর্থকে। তাদের প্র’ত্যেকেই বাংলাদেশি, তবে জীবিকার তাগিদে থাকেন আরব আমিরাতের বিভিন্ন শহরে। কেউ
ছুটে এসেছেন দূরের কোনো শহর থেকে। কেউ কেউ কাজ থেকে ছুটি পাননি, একপ্রকার পালিয়েই এসেছেন। গোটা ম্যাচজুড়ে ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে মুখরিত রেখেছেন স্টেডিয়াম। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের স’মর্থকদের প্রশংসায় ভাসালেন আফগানিস্তানের
অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। আরব আমিরাতকে হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করা আফগানরা বরাবরই এই দেশে প্রচুর সমর্থন পায়। এদিন ম্যাচ জিততে পারলেও সমর্থনের দিক থেকে বাংলাদেশের কাছে হেরে গেছে আ’ফগানিস্তান, মনে করেন নবী। তিনি বলেন, ‘দুবাই-শারজায়
খেলা হলে প্রচুর সমর্থক খেলা দেখতে আসেন, আফগানিস্তানকে সমর্থন যোগান। আজ বাংলাদেশের প্রচুর ভক্ত-সমর্থক ছিলেন। আমার মন হয় তারা আমাদের সমর্থকদের পরাজিত করেছেন।’ বাংলাদেশ দলের তো ম’নে হয়েছে, খেলা হচ্ছে ঘরের মাঠে! উইকেট কিংবা
কন্ডিশন বিবেচনায় শারজাকে মিরপুরের সাথে তুলনা করতে নারাজ যিনি, দর্শক-সমর্থকদের কারণে সেই মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের কাছে আরব আ’মিরাতকে
বাংলাদেশ বলেই মনে হয়েছে। মো’সাদ্দেক বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল আমরা বাংলাদেশে খেলছি। বেশিরভাগ দর্শকই আমাদের পক্ষে ছিলেন। শারজাকে বাংলাদেশ মনে হচ্ছিল।’