আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাননি সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় তাকে দলে নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশের ক্রি’কেটের অন্যতম সেরা এই তারকার ভবিষ্যত কি তা নিয়ে ব্যাপক আ’লোচনা হচ্ছে। সাবেক এই
অধিনায়কও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে বাদ পড়াটা আশা করেননি। জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে আবার দলে নেওয়া হয়। বি’সিবি সভাপতি নাজমুল হা’সান দল ঘোষণার কিছু দিন আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন
মাহমুদউল্লাহ দলে থাকবেন না। তাই সাবেক অধিনায়কের বাদ পড়ায় খুব কমই বিস্ময়কর ছিল। অন্যদিকে বার বার বাজে পারফর্ম করেও সুযোগ পেয়েছেন নাজমুল হো’সেন শান্ত। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে এমন চমকের পর রিয়াদকে দলে ফেরানোর জন্য মান’ববন্ধনও করছেন
ক্রিকেট ভক্তরা। দল ঘোষণা করা হলেও টাইগার ভক্তদের চাওয়ায় রিয়াদের ফেরার সুযোগ যে একেবারেই নেই এমনটা নয়। কেননা এবার বিশ্বকাপের তিনদিন আগ পর্যন্তও খেলোয়াড় পরিবর্তনের সু’যোগ রাখছে আইসিসি। বাংলাদেশ চাইলে নিউজিল্যান্ডের
ত্রিদেশীয় সিরিজ ও প্রস্তুতি ম্যাচে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দেখার পর বিশ্বকাপ স্কোয়াড পুনর্বিন্যাস করতে পারবে। বি’শ্বকাপে রিজার্ভ ক্রিকেটার তিন’জন সহ বিসিবি দল দিয়েছে ১৮ জনের৷ সেখানে যুক্ত
করার সুযোগ রয়েছে আরও ৭ জনের। কেননা ২৫ জনের প্রাথমিক স্কোয়াড থেকে ক্রিকেটার নেওয়ার সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে দলে ফেরার সুযোগ থাকছে মাহমুদউল্লাহ রি’য়াদের। ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য এখনো দল ঘোষণা করেনি বিসিবি৷ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে
বিসিবির কর্তা জানিয়েছিলেন ত্রিদেশীয় সিরিজে রিয়াদকে দলে রাখতে ইচ্ছুক তারা। যদিও অবসরের জন্য সেই প্র’স্তাব দেয়া, তবে রিয়াদ অবসরে যেতে চাননা। তিনি আরও দুই বছর টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যেতে চান।
আর তাই তিনি যদি ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলতে যান এবং ভাল পারফর্ম করতে পারেন তবে ফিরতে পারেন মূল স্কো’য়াডে। কেননা অধিনায়ক সাকিবও চান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলে ফিরুক।