ক্রিকেট দল নিয়ে আর মাথা ঘামতে চাননা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। নির্বাচক থেকে শুরু করে কিকেট অপারেশন্স কোথাও খুজে পাচ্ছেন না সমন্বয়।সহ কর্মীদের কর্মকান্ডে বিব্রত
পাপন। সাবেক বোর্ড পরিচালক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের কাছে বিসিবির বর্তমান হাল চাল নিয়ে নিজের কষ্ট শেয়ার করেছেন বিসিবি বস।স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন একসময়ে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট
বোর্ডের ডাক সাইডের পরিচালক। এই সংগঠকের কাছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান হাল চালের কথা জিজ্ঞাসা করতেই দিলেন ভয়ংকর সব তথ্য। তিনি বলেন” পাপন সাহেব তিন থেকে চার বার
আমার কাছে ফোন কররেছেন। ওনি যে সকল তথ্য দিলেন আমি বিশ্বাসই করতে পারছিনা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে এই রকম ঘটনা। পাপন সাহেব বলেন ওনাকে কেউ কিছুই জানায় না। সাবিকে পাঠিয়ে
দেয়ার পরে আমাকে একটা কাগজ পাঠায়। সকলেই সই করেছে, সিলেক্টরা সবাই। শুধু আমার সই করা বাকি। প্লেয়াররা কিন্তু তখন অলরেডি চলে গেছে।”সম্প্রতি বিসিবি প্রেসিডেন্ট মোবাশ্বের
হোসেনকে টেলিফোনে জানিয়েছেন কিভাবে চলছে বিসিবি, কে বা কারা নাড়ছে কল কাঠি।এই বিষয়ে মোবাশ্বের হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, “আমার সাথে পাপনের তেমন কথা হয়না, কারন
আমি সব সময় তার বিরুদ্ধে কথাবলি। তখন ওনি(পাপন) আমাকে বলছে, আপনার অনেক জিনিস আপনি জানেন না।”তিনি আরো বলেন, “বিসিবি তিন গ্রেডের প্লেয়ারদের জন্য আন্তর্জাতিক কোচ
নিয়ে আসে। মুলত এক কোচের সাথে আরেক কোচের কোনো সম্পর্ক থাকেনা। একজন শেখায় বল আসলে ডাউন দ্যা গ্রাউন্ড মারবা।সেই লেভেল শেষ হয়ে যখন অনূর্ধ্ব ১৯ এ যায় তখন সেখানে
কোচ শেখায় বল ডিফেন্ড করবা। আর এখন এখন যিনি নতুন কোচ এসেছেন তিনি বলেন সব বল উপর দিয়ে মারতে হবে।”এতে করে প্লেয়াররা এক প্রকার দ্বিধা দন্দের মধ্যে পরে যে তাকে ঠিক কিভাবে
খেলতে হবে। দশ বছর ধরে শিখে আসে তাদের ডিফেন্ড খেলতে হবে। আর হুট করে জাতীয় দলে এসে শিখতে হয় তাদের সব বল মারতে হবে। একটা মানষিক চাপ তৈরি করছে বলে মনে করেন
সাবেক এই বিসিবি পরিচালক।সংবাদ সম্মেলনের আগে বিসিবি সভাপতিকে শিখিয়ে দেয়ায় তিনি কি বলবেন আর কি বলবেন না। এসকল কথা মোবাশ্বের হোসেনের কাছে শেয়ার করেছেন বিসিবি
সভাপতি পাপন।বিসিবি প্রসিডেন্টের শেষ ইচ্ছা জাতীয় দল নিয়ে তিনি আর মাথা ঘামাবেন না। ক্রিকেটার তৈরির কিছু উইংস তৈরি করে তিনি বের হয়ে যেতে চান এই গ্যারাকল থেকে।স্থপতি
মোবাশ্বের হোসেনের সাথে বিসিবি সভাপতির কথপোকথন যদি সত্যিহয় তাহলে দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কি সেটা এখন সকলের কাছে প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে