বাজে ফর্মের কারণে জেসন রয় বাদ পড়লেও ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে জায়গা মেলেনি অ্যালেক্স হেলসের। ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্মে জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ায় ইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব কিকে ফোন করে ক্ষোভ
প্রকাশ করেছিলেন ডানহাতি এই ওপেনার। তবে কদিন পরই ভাগ্য খুলে হেলসের। ইনজুরির কারণে জনি বেয়ারস্টো ছিটকে যাওয়ায় ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ মেলে তার। তিন বছর পর জাতীয় দলে ফেরা হেলস জানিয়েছেন, এক সময় দলে ফেরার আশা ছেড়ে
দিয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সুযোগ পাওয়ার পর প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে হেলস বলেন, ‘ভেবেছিলাম, নিশ্চিতভাবেই আর কখনও সুযোগ
আসবে না আমার। মাঝেমধ্যেই মনে হতো, আর ডাক পাব না। এই তিন বছর ধরে ক্যারিয়ারের সেরা ক্রিকেট খেলেছি আমি, কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর হবে না বলেই
মনে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত এই সুযোগটা পেয়ে তাই আমি দারুণ গর্বিত এবং সুযোগ কাজে লাগাতে মুখিয়ে আছি। আমি বিশ্বাস করি, দলকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে পারি আমি। শৃঙ্খলা ও বিশ্বাসের ঘাটতির
দায়ে লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন হেলস। ২০১৯ বিশ্বকাপ দলে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ড্রাগ নেয়ায় বাদ পড়েছিলেন ডানহাতি এই ওপেনার। এরপর থেকে আর জাতীয় দলের অধীনে আসা হয়নি তার। গুঞ্জন
উঠেছিল ইয়ন মরগান না চাওয়ায় দলে সুযোগ পাননি হেলস। তবে এসবের জন্য কাউকে দায় দিতে চান না তিনি। নিজের ওপর দায় দিয়ে হেলস বলেন, ‘যে ধরনের
কাজ আমি করেছি, ওসবের জন্য কাউকে দায় দেওয়া যায় না… তবে তিন বছর অনেকে, অনেক বেশিই লম্বা সময়, বিশেষ করে একজন অ্যাথলেটের জন্য। খুবই যন্ত্রণাময় ছিল সময়টা।