বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ডাকসুর সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী যমুনা গ্রুপের পরিচালক হিসেবে যোগদানের খবরটি নিজেই দিয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই ঘো’ষণা দিয়ে হইচই ফেলে দেন। তিনি দাবি করেন
তাকে যমুনা গ্রুপের পরিচালক (অ্যাফেয়ার্স) পদে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে তাকে কাপজে-কলমে এই পদে নিয়োগপত্র দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। গোলাম রা’ব্বানী তার ফেসবুক পেজে ঘোষণাটি দেয়ার পর তার অনুসারীদের কেউ কেউ আলহামদুলিল্লাহ
বলে শুভ কামনা জানান। কমেন্ট বক্সে একজন বলেন, ‘ভাই, ইনশাআল্লাহ যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান হবেন। আরও অ’নেকেই নানা ধরনের ইতিবাচক মন্তব্যের পাশাপাশি নেতিবাচক মন্তব্যও করেন। তারমধ্যে গোলাম রাব্বানীর আগের ইস্যু টেনে অনেকে এমন মন্তব্যও
করেন যে, ‘তিনি যমুনা গ্রুপ খেয়ে ফেলবেন।’ নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এসব বিষয় প্রতিপক্ষের নজরে গেলে তারা গোলাম রাব্বানীর বিষয়ে ধীরে চলো নীতিতে যান। এম’নকি গোলাম রাব্বানীর ঘোষিত পরিচালক
পদ থেকে কয়েকধাপ নামিয়ে হেড অব অ্যাফেয়ার্স হিসেবে পরিচয় দেয়ার জন্য বলা হয় তাকে। গোলাম রাব্বানী দলীয় প্রধানের সামনে এখনও তার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে দাঁড়াতে পারেননি। এমনকি কোনো গ্রুপে পরিচালক পদে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতাও তার
নেই। এখন দেখার বিষয় হেড অব অ্যফেয়ার্স হিসেবে তিনি আদৌ কিছু করে দেখাতে পারেন কিনা। কারণ যমুনা গ্রুপ একদিনে তৈরি হয়নি। শিল্পপতি নুরুল ইসলাম বাবুলের ঘাম ঝরানো পরিশ্রমে তিলেতিলে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বাহিরের থেকে যে’কেউ অনেক কিছু করবেন বলে আসলেও এই
গ্রুপকে কাজ দিয়ে সন্তুষ্ট করতে না পারলে তার টিকে থাকা কঠিন। গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলেও রেসপন্স পাওয়া যায়নি।