এশিয়া কাপের ব্যর্থ মিশন শেষে শনিবার দেশে ফেরে বাংলাদেশ দল। আর একদিন পরেই নিজের ফেসবুকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মুশফিকুর রহিম। জাতীয় দলের
এ উইকেটকিপার ব্যাটারের হঠাৎ অবসরের ঘোষণায় বিস্মিত করেছে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। একইভাবে বিস্মিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও। মুশফিকের এ ঘোষণায় অবাক
হয়েছেন বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। কারণ বোর্ডের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই নিজের অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিক। অবাক হলেও এ বিষয়ে অবশ্য প্রতিক্রিয়া
জানাতে রাজি হননি জালাল ইউনুস। বিসিবির এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাকে বা আমাদের (বিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি মুশফিক। যেহেতু আমি বা আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না, তাই আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো মানায়
না।’তবে মুশফিকের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান জালাল। তিনি বলেন, ‘তবে যেহেতু সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দিয়েছে, আমি তার এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। আমি মনে করি এটি খুবই সময়োচিত সিদ্ধান্ত
নিয়েছে সে। তার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা থাকবে।’এদিকে জানা গেছে, ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পাশাপাশি বিসিবিতে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে নিজের অবসরের কথা জানিয়েছেন মুশফিক। হয়তো সে চিঠি জালাল ইউনুসের হাতে
পৌঁছায়নি তখনো। রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে এ ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিক। তবে বাকি দুই ফরম্যাট ওয়ানডে ও টেস্ট চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুশফিক লিখেছেন, সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা। দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের যাত্রায় আমি আপনাদের সবাইকে পাশে পেয়েছি। ভালো এবং খারাপ দুই সময়েই আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থন আমার প্রেরণা। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক
ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে আজ আমি অবসর নিচ্ছি। তবে বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলা চালিয়ে যাব। আশা করছি এই দুই ফরম্যাটে আমি আরও কিছু নিয়ে আসতে পারব দেশের জন্য। আন্তর্জাতিক
টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও কুড়ি ওভারের ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলে যাবেন মুশফিক। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগসহ (বিপিএল) অন্যান্য ফ্রাঞ্চাইজি লিগে
আমি আমার খেলা চালিয়ে যাব টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আলহামদুলিল্লাহ। সবার নিকট কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ। প্রসঙ্গত টেস্ট ও ওয়ানডের দুর্দান্ত পারফরমার
মুশফিক টি-টোয়েন্টিতে সেভাবে সপ্রতিভ ছিলেন না। টেস্ট ও ওডিআইয়ের মতো ভালো পরিসংখ্যান নেই তার কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে। ১০২টি টে-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মি. ডিপেন্ডেবল। ১৯.৭৮ গড়ে ১১৪. ৯৪ স্ট্রাইকরেটে ১৫০০ রান করেছেন তিনি। এতে অর্ধশতক রয়েছে ৬টি।