পাকিস্তানের বিপক্ষে বলতে গেলে জেতা ম্যাচ হেরে যায় আফগানিস্তান। নাসিম শাহের দুই ছক্কায় জিতে যায় পাকিস্তান। হারের পর কাঁদতে দেখা গেছে ফারুকী-গুরবাজদের। ম্যাচের পরতে পরতে ছিল উত্তেজনাও। আসিফ আলী আউট হওয়ার পর তো হাতাহাতি অবস্থা।
২০১২ সালে কেঁদেছিলেন সাকিব-মুশফিকরা! পাকিস্তানকে যখন ট্রফি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল, তখন সাকিবের বুকে মুখ গুজে কেঁদেছিলেন মুশফিক। সাকিবও কান্না চেপে রাখতে পারলেন না। সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেল নবী-ফারুকিদের কাঁন্নাতে।
মাশরাফি মুর্তজা, নাসির হোসেন ও তামিম ইকবালদের বিষাদে ভরা চেহারা আজও দেশের ক্রিকেট ভক্তদের ভাবায়। মুশফিক-সাকিবদের কান্না ছুঁয়ে গিয়েছিল গ্যালারির সবাইকে। হারের ক্ষোভ মুছে ফেলেছিল তাদের কান্না।
বুধবার ফারুকীরাও কাঁদলেন। এমন অবিশ্বাস্য হার যে হারতে হবে সেটা ঘুর্ণাক্ষরেও তারা টের পাননি শেষ ওভার করতে যাওয়ার আগে। ক্রিজে ছিলেন শেষ জুটি, যেখানে ব্যাটিংয়ে দুই বোলার। স্ট্রাইকে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে মাত্র তিন বল খেলা নাসিম, কিন্তু তিনিই যে এমন কিছু করে ফেলবেন তা হয়তো পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমেও কেউ কল্পনা করেননি।
১৯৮৬ সালের এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জাভেদ মিয়াঁদাদের সেই ছক্কা মেরে পাকিস্তানকে জেতানোর স্মৃতিই যেন ফিরেছিল শারজায়। বুধবার নাসিমকে ভর করেছিল মিয়াঁদাদের
সেই কীর্তি। বোলার হয়েও ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অনন্য এক ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে তুললেন ফাইনালে। ম্যাচ হাতের মুঠোয় নেওয়ার পর জয় ফসকানোটা মানতে পারেনি আফগান ক্রিকেটাররা।