অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ছাড়াই ঘোষণা করা হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল। জাতীয় দল থেকে সিনিয়র ক্রিকেটারদের যে প্রক্রিয়ায় ছেঁটে ফেলা হচ্ছে তা মাশরাফি বিন মুর্তজার
চোখে প্রশ্নবিদ্ধ। বিশ্বকাপ দল থেকে মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। তবে ক্রিকেটার সঙ্কটে আবারও বাদ পড়াদের দলে নিতে হয়েছে বলে মনে করেন সাবেক অধিনায়ক। শেখ মাহেদীর জায়গা না পাওয়া তার চোখে অবাক করা।
সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কা ট্যুরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ওয়ানডে দল থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আমি রেখেছিলাম। আমি বলেছিলাম যে আমি দায়িত্ব নিয়ে বলেছি তাকে রাখতে হবে। তখন শর্ত ছিল
প্র্যাকটিস ম্যাচে রান করতে হবে। রিয়াদ অর্ধশত তুলে নেয়।মাহমুদউল্লাহর ওয়ানডে ক্যারিয়ার থমকে যেতো ৬ বছর আগেই। সেই ফরম্যাটে যাত্রা চললেও টেস্ট থেকে বিদায় নিয়েছেন অভিমানে। টি-টোয়েন্টিও দেখে ফেলেছে শেষটা। বিশ্বকাপ
দলে জায়গা হয়নি। অন্য সবাইকে ছাপিয়ে মাহমুদউল্লাহ ইস্যুতে কোথায় যেন লুকোচুরি। সম্মানের সঙ্গে বিদায়ের কথা বলেও বাদ দেয়ার ধরণ সেই পুরনো ধাঁচে। বাংলাদেশের সাবেক
অধিনায়ক বলেন, ‘বারবার এমন না হয়ে একটা সমাধানে আশা উচিত। ক্রিকেটারদের সম্মান করাও হলো আবার বিসিবিরও সুনাম হলো। এরকম একটা জায়গায় আসা উচিত। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে আমি টি-টোয়েন্টির
অন্যতম সেরা ব্যাটার ভাবি।’‘অফফর্ম আর ধীরগতির স্ট্রাইকরেটের যে অভিযোগ তার কারণে মাহমুদউল্লাহর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হতে পারত গত বিশ্বকাপের পর। কিন্তু বিসিবির দূরদর্শিতার অভাব ফের সংকট তৈরি করেছে
আরও একটি বৈশ্বিক আসরের আগে। মাথাব্যাথার কারণ শুধু একা মাহমুদউল্লাহ নন আছে টিম ম্যানেজমেন্টও।’টাইগারদের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, ‘সামর্থ্য থাকার পরও
স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা না। রিয়াদ শট খেলতে পারে এটা নিয়ে তো কোনও সন্দেহ নেই। তাহলে খেলছে না কেন? সেটা কি আউট হওয়ার ভয়ে, রানের ভয়, নাকি মানসিক
সমস্যা, কোনটা? বলতে চাই এখানে কোনও গ্যাপ আছে কিনা?’ মাশরাফির চোখে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচকদের পেশাদারিত্ব। কখনো মিথ্যাচার, কখনো সাহসিকতার অভাব ক্রিকেটারদের সঙ্গে দূরত্বের কারণ। কোন যুক্তিতে শেখ মাহেদী বঞ্চিত আর
নাজমুল শান্তর মত ক্রিকেটারের হাতে বিশ্বকাপ টিকিট? প্রশ্ন নড়াইল এক্সপ্রেসের। সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ‘আমি আভিযোগ করেছিলাম
নান্নু-সুমন ভাই মিথ্যা কথা বলেছিলেন যে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। বাদ পড়া নিয়ে আমার অভিযোগ নেই। আমি খারাপ খেলেছি, তাই বাদ পড়েছি। নির্বাচকদের দায়িত্ব
নিতে হবে। আমাদের সংস্কৃতিতে সেটা সম্ভব হোক বা না হোক তাহলে ওনাদের (নান্নু-সুমন) উত্তর দিতে হবে এগুলোর। সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশে ব্যাকআপ ক্রিকেটার নেই। যদি থাকত তাহলে তো আপনি ওর কাছে ফিরে যেতেন না। তাকেও তো
দেশের মানুষ সমালোচনা করে ক্লান্ত হয়ে একটা পর্যায়ে বাদ দিয়েছে। ’ কোচ আসে কোচ যায় তবে ভাগ্য পরিবর্তন হয় না দেশের ক্রিকেটের। মাশরাফির মতে, টেকনিক্যাল
কনসাল্টেন্ট শ্রীধরণ শ্রীরামের জানা উচিত দায়িত্বের পরিধি। তিনি বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ একজন বিদেশি কোচ সে যত দামি কোচই হোক না কেন তার জানা উচিত দায়িত্ব কতটুকু।