আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু হবে বাংলাদেশের। জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামার আগে নিজেদের সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমরা। সেই সঙ্গে দলের ব্যাটে-বলের পরিকল্পনার সঙ্গে
আইসিসির নতুন নিয়ম সম্পর্কেও ভাবতে হবে অধিনায়ক সাকিবকে। আইসিসির নতুন নিয়মটি হচ্ছে স্লো ওভার রেট নিয়ে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিটি দলের ইনিংস শেষ করার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া আছে। ৮৫ মিনিটের মধ্যে দলগুলোকে নিজেদের বোলিং ইনিংস শেষ করতে হবে। অন্যথায়, স্লো ওভার রেটের
কারণে ৩০ গজের মধ্যে একজন বাড়তি ফিল্ডার রাখতে হবে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর সাধারণত ৫ ফিল্ডার বাইরে রাখার নিয়ম আছে আর ৪ ফিল্ডার ভেতরে। কিন্তু আইসিসির নতুন নিয়মে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ ওভার শুরু করতে না পারলে
যতগুলো ওভার বাকি থাকবে, সে সময় থেকে একজন বাড়তি ফিল্ডার শাস্তি হিসেবে ভেতরে রাখতে হবে। ফলে সে সময় ডেথ ওভারে প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা বাউন্ডারিতে বাড়তি সুবিধা পাবেন। তাই দলগুলোর জন্য নির্ধারিত সময়ে ইনিংস শেষ করা একটি
চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আফগানদের বিপক্ষে খেলার সময় অধিনায়ক সাকিবকে এ বিষয়টিও মাথা রাখতে হবে। এই নিয়ম এ বছরের জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে এই নিয়মে শাস্তি পেয়েছেন দুই দলের অধিনায়ক বাবর
আজম ও রোহিত শর্মা। তবে বড় ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তান দলের। কেননা, শেষ তিন ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৩২ রান। সে সময় স্লো ওভার রেটের কারণে একজন
ফিল্ডারকে সার্কেলের ভেতরে রাখতে হয়েছে অধিনায়ক বাবরকে, যার পুরো সুবিধা নিয়ে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অবশ্য এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগে আইসিসির নতুন নিয়ম নিয়ে কাজ করেছেন। নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সময় ক্রিকেটাররা মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে
এই নিয়মে খেলেছেন। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ আর আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে। আন্তর্জাতিক ম্যাচের চাপ, উত্তেজনা সবকিছু মিলে সঠিক সময়ে সাকিব-মুশফিকদের কাজটা করতে হবে।