রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো খেলেও হেরে গেল আফতাব আহমেদ-অলক কাপালিরা। ইন্দোরে বৃষ্টিবিঘ্নিত
ম্যাচটিতে ৮ উইকেটের হার দেখে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে এদিন প্রতি দলের ব্যাটিং ইনিংস থেকে ৯ ওভার করে কমে যায়। ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ লিজেন্ডস। আগে
ব্যাটিং করে অলক কাপালি এবং ধীমান ঘোষের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১১ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৮ রান তোলে বাংলাদেশ লিজেন্ডস। এরপর স্পিনারদের ঘূর্ণিতে ভালোই লড়াই করে টাইগাররা। তবে
পেসারদের ব্যর্থতা এবং ক্যাচ মিসের মাশুল গুণে শেষ পর্যন্ত ৯ বল আগেই ম্যাচ হারে বাংলাদেশের লিজেন্ডস। টাইগারদের দেওয়া ৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪ রানে প্রথম
উইকেট হারায় কিউইরা। ওপেনার অ্যান্টন ডেভচিচকে ২ রানে ফেরান আব্দুর রাজ্জাক। তাতে কিছুটা চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তবে পেসার ডলার মাহমুদ ১ ওভারে ২১ রান দিয়ে
কিউইদের চাপ এড়াতে সাহায্য করেন। তবে অলক কাপালি এবং ইলিয়াস সানি বল হাতে নিজেদের চেষ্টা চালিয়ে যায়। এরমধ্যে কাপালি ওপেনার জেমি হাউকে ব্যক্তিগত ২৬ রানে বোল্ড করে ফেরান। তবে আবারও পেসার
আবুল হাসান বোলিংয়ে এসে ১ ওভারে ১৬ রান দিয়ে বাংলাদেশ লিজেন্ডসকে এক প্রকার ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেন। নিজের ৩য় এবং দলীয় দশম ওভারে কাপালি বোলিংয়ে এসে ৩ বলে টানা
দুই ছয়ে ১৪ রান হজম করলে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। কিউইদের পক্ষে ডিন ব্রাউনলি ১৯ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩১ এবং অধিনায়ক রস টেলর ১৭ বলে ৩ ছয়ে ৩০ রানে অপরাজিত
থেকে মাঠ ছাড়েন। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ লিজেন্ডস। এরমধ্যে আফতাব আহমেদ একাই ৯ বলে ১টি করে চার-ছয়ে করেন ১৩ রান। তবে এরপর বাংলাদেশ লিজেন্ডসের পক্ষে ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দেন কাপালি এবং
ধীমান। এই দুই ব্যাটসম্যান ৫২ বলে ৮৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। শুরুতে কিছুটা ধীর শুরু করলেও সময়ের সঙ্গে আক্রমণাত্মক হন দুইজনই। এরমধ্যে কাপালি ছিলেন বেশি আগ্রাসী। ২১ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৭ রানে
অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্য প্রান্তে ধীমান ৩২ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে করেন অপরাজিত ৪১ রান। কিউইদের পক্ষে কাইল মিলস ২ ওভারে ১১ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট শিকার করেন।