দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ উইকেটে হেরে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ।
রানের পাহাড় ছিল। ফিল্ডিং ও বোলিংয়ের কিছু ভুলে এতো বড় সংগ্রহ নিয়েও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরা কুসল মেন্ডিস ৬০ রান করার পথে বেঁচে যান চারবার। ২ রানে তাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিমকে। কিন্তু গ্লাভসে জমাতে পারেননি অভিজ্ঞ এই কিপার।
২৯ রানে আবার কিপারকে ক্যাচ দেন মেন্ডিস। এবার ঠিকই গ্লাভসে নেন মুশফিক। কিন্তু থার্ড আম্পায়ার জানান, ওভার স্টেপ করেছিলেন শেখ মেহেদি হাসান। ৩২ রানে আবার
কিপারকে ক্যাচ দেন মুশফিক। তিনি কিংবা কোনো ফিল্ডার বুঝতেই পারেননি বলে ব্যাটের স্পর্শ। আম্পায়ার ওয়াইড দেওয়ার পর রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ।
এতগুলো সুযোগের যেকোনো একটি কাজে লাগিয়ে মেন্ডিসকে ফেরাতে পারলে ম্যাচে আরও ভালো জায়গায় থাকতে পারতো বাংলাদেশ। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে ওই ‘নো’ বলে মেন্ডিসের বেঁচে যাওয়ার প্রসঙ্গ সংবাদ সম্মেলনে উঠতেই হতাশা ঝরল সাকিবের কণ্ঠে।
‘নো’ বল ৪টি আর ৬টি ওয়াইড। তাই ১০টি বাড়তি বল করতে হলো বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচের ফলে যা বড় প্রভাব ফেলল। এক জন স্পিনারের ‘নো’ বল মানতেই পারছেন না সাকিব আল হাসান।
“টার্নিং পয়েন্ট তো হতেই পারে সেটা। অনেক সময় পেস বোলাররা ‘নো’ বল করে। স্পিনারদের ‘নো’ বল করা অবশ্যই অপরাধ। সাধারণত আমাদের স্পিনাররা কখনও এরকম ‘নো’
বল করে না। আজকে যেহেতু একটা চাপের ম্যাচ ছিল, বোঝা গেল যে আমরা চাপে এখনও কতটা ভেঙে পড়তে পারি। তাই এই জায়গাগুলোতে আমাদের অবশ্যই উন্নতি করতে হবে।“
“কোনো অধিনায়কই চায় না, ‘নো’ বল হোক। অবশ্যই এটা একটা অপরাধ। স্পিনার ‘নো’ বল করলে সেটি বড় একটা অপরাধ। তবে আমাদের আরও অনেক জায়গা আছে উন্নতি করার। আজ
আমরা অনেক ‘নো’ আর ওয়াইড করেছি, যেটি সুশৃঙ্খল বোলিং নয়। আমরা চাপে ছিলাম, বুঝতে পারছিলাম না কী করা উচিত। এটা এমন একটা চাপের ম্যাচ, সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যেখান থেকে আমরা শিখতে পারি।”
অভিষিক্ত পেসার ইবাদত হোসেন ৬ ওয়াইডের সঙ্গে করেন দুটি ‘নো।’ অফ স্পিনার মেহেদি করেন দুটি ‘নো।’ দলকে দিতে হয় এর চড়া মাশুল। গুণতে হয় বাড়তি রান, করতে হয় বাড়তি বল। নির্ধারিত সময়ে শুরু করতে না পারায় শেষ ওভারে বোলিং করতে হয় সীমানায় চারজন ফিল্ডার রেখে।