এশিয়া কাপের ব্যর্থ মিশন শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সকল প্লেয়ার। তবে এশিয়া কাপে হারের এমন শোকে যখন সবাই কাতর ঠিক তখনই শোকের মাত্রা তীব্র করে দিলেন বাংলাদেশ দলের ডিপেন্ডেবল
মুশফিকুর রহিম। হূট করে গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার টি-২০ থেকে অবসরের ঘোষনা দেন তিনি। তার এমন আচমকা ঘোষনায় বেশ চমকে উঠেছে ক্রিকেট ভক্ত সহ বিসিবিও। ইতিমধ্যে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা
বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও সিইও নিজাম উদ্দীন চৌধুরীকে নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ই-মেইল করেছেন। তবে বিসিবি জানিয়েছে, মুশফিকের অবসরের
সিদ্ধান্ত বিসিবি গ্রহণ করবে কিনা তা আলোচনা করে জানাবে। বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে বলেছেন, “মুশফিকের ই-মেইল পেয়েছি। সে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিতে চায়। তবে টেস্ট
ও ওয়ানডের জন্য সে অ্যাভেইলাবল আছে। কারণ হিসেবে জানিয়েছে এই দুইটা ফরম্যাটে সে ফোকাস করতে চায়।”“আমি মাননীয় বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। এই মুহূর্তে আমরা
সিদ্ধান্ত নেইনি। তার এটা (অবসরের সিদ্ধান্ত) গ্রহণ করেছি, কী করিনি। এটা আমাদের মধ্যে আলাপ করতে হবে। যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়নি, এই মুহূর্তে কিছু বলা কঠিন।” এশিয়া
কাপে ব্যর্থতার পর মুশফিককে বাদ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল না দাবি করেছেন জালাল ইউনুস। সঙ্গে জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুশফিককে নিয়েই পরিকল্পনা করছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। “বিশ্বকাপের জন্য কিছু
খেলোয়াড় আমরা ঠিক করেছি। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে ২০ জনের মতো খেলোয়াড়ের একটা সেট করা হয়েছে। মুশফিক ওই ২০ খেলোয়াড়ের একজন।মুশফিকের হুটহাট অবসর সিদ্ধান্ত এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
নিজের সিদ্ধান্ত জানানো পছন্দ হয়নি বিসিবির,“এ ধরণের অবসর না হলেই ভালো। অন্য দেশগুলোতে দেখেন, একজন খেলোয়াড় যখন সিদ্ধান্ত নেয়, আস্তে আস্তে যখন তার ক্যারিয়ার শেষের দিকে চলে আসে, তারা জানেই যে কোন ফরম্যাট কতদিন
খেলবে, না খেলবে”। “তারা কিন্তু ৬ মাস বা ১ বছর আগে বলে দেয়, যে অমুক সিরিজে শেষ ম্যাচ হবে আমার। আমি অবসর নেব। আমাদের ক্ষেত্রেও যদি কোনো খেলোয়াড় বলে দেয় যে অমুক সিরিজে আমি অবসর নেব আমাদের
ক্ষেত্রে ভালো হয় যে, তাদেরকে সম্মান ও তাদের অবসরের সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করতে পারি। সম্মানের সঙ্গে যেন তাদের বিদায় জানাতে পারি”। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে
অভিষেক হয় মুশফিকুর রহিমের। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ১০২ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ব্যাট হাতে তিনি করেছেন ১৫০০ রান।