ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং ব্যর্থতায় ৩৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এর আগে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই লক্ষ্য
তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা। ক্যারিবীয়ানদের দেয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ওবেদ ম্যাকাইয়ের টানা দুই বলে সাজঘরে ফেরত যান দুই ওপেনার লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয়। মিডল স্টাম্পে পড়া গুড লেন্থের বল ডিপ স্কয়ার লেগে
ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান লিটন। ৪ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। লিটনের আউটের ঠিক পরের বলেই আউট হন এনামুল হক বিজয়ও। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে যান তিনি। ব্যাটে লেগে সেটি চলে আসে স্টাম্পে। ৪ বলে ৩ রান করেন বিজয়। এর কিছুক্ষণ পর সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। টানা দুই
বলে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে আশা দেখান তিনি। এরপর ৭ বলে ১১ রান করে স্মিথের বলে ম্যাকাইইয়ের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান। দুজন মিলে গড়েন ৫৫ রানের জুটি। তবে স্কুপ করতে গিয়ে
উইকেটের পেছনে ক্যারিবীয় অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের তালুবন্ধি হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় আফিফকে। ইনিংসের প্রায় পুরোটা সময় ক্রিজে থাকলেও সাকিব আল হাসানের ইনিংস বেশির ভাগ সময়ই ছিলো উদ্দেশ্যেহীন। ম্যাচের শেষ অবধি ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন সাকিব
আল হাসান। মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে শেষদিকে চেষ্টা করলেও তাতে কেবল রানের ব্যবধানই কমেছে। শুরু থেকে সাকিব পাল্লা দিতে পারেননি রান রেটের সঙ্গে। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে উইন্ডিজদের দারুণ শুরু এনে দেন কাইল মেয়ার্স। তাসকিন আহমেদের
করা প্রথম ওভার থেকেই আসে ১৪ রান। কিন্তু ২ চার ও ১ ছক্কায় ৯ বলে ১৫ রান করে মেহেদী হাসানের বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর দলকে দ্রুতই দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন সাকিব আল হাসান। ৩ বলে ০ রান করা সামারা ব্রুকস আকাশে তুলে মারতে গিয়ে তার বলে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে। পরে
ক্যারিবীয়দের হয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। তাদের দুজনের ব্যাটে চড়ে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে বাধা হন মোসাদ্দেক হোসেন। মুনিম শাহরিয়ারের চোটে একাদশে জায়গা পাওয়া এই অলরাউন্ডার ফেরান পুরানকে। এর আগে এই ব্যাটার ৩০ বল খেলে
করেন ৩৪ রান। তাকে ফেরানো ওই ওভারটিতে কোনো রান দেননি মোসাদ্দেক হোসেন। কিন্তু পরে আর বোলিংয়ের সুযোগই পাননি তিনি। পুরানের বিদায়ের পরও থমকে যায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তোলার গতি। সেটি বরং বাড়েই। ব্রেন্ডন কিংকে সঙ্গে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি
গড়েন রভম্যান পাওয়েল। সাকিবকে এক ওভারে ৪ বাউন্ডারি হাঁকানো এই ব্যাটার শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ২ চার ও ৬ ছক্কায় করেন ২৮ বলে ৬১ রান। ইনিংস উদ্বোধনে নামা ব্রেন্ডন কিংও তুলে নেন ফিফটি। তিনি অবশ্য ৪৩ বলে ৪৭ রান করে আউট হয়েছেন শরিফুল ইসলামের বলে। শেষদিকে ৪ বলে ১১ রানের
ঝড়ো ইনিংস খেলেন ওডেন স্মিথও। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন শরিফুল। এক উইকেট করে পেয়েছেন মেহেদী হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন ও সাকিব আল হাসান।