ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগারদের দল ঘোষণা। সেই দলের সম্ভাব্য রুপরেখা নিয়েও কথা
হচ্ছে। কেমন হতে পারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল?আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। কৌতুহলি প্রশ্ন আর গুঞ্জনও চারিদিকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বলে কথা। নিশ্চিতভাবেই খেলা
হবে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে। তারপরও অস্ট্রেলিয়ার মাটি মানেই বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের মাটির তুলনায় বাড়তি গতি ও বাউন্স।খুব স্বাভাবিকভাবেই পেসাররা একটু হলেও বাড়তি সহায়তা পাবেন।
এরকম কন্ডিশনে দলে বাড়তি পেসার থাকাটাও যে বাঞ্চনীয়! এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশ দলে কি বাড়তি পেসার থাকবেন?নির্বাচক হাবিবুল বাশারও মনে করছেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে একজন
বাড়তি পেসারের অন্তর্ভুক্তি দরকার।আজ বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া কন্ডিশনে যখন খেলতে যাই স্বাভাবিকভাবে একজন বাড়তি পেসার নিয়ে যাওয়া হয়।
সেটাই চেষ্টা থাকে। এবারও সেটাই হবে।আমরা যখন ঘরের মাঠে খেলি, একজন বাড়তি স্পিনার নেওয়া হয়- যেহেতু একাদশে তিন পেসারের বেশি খেলে না; কিন্তু যেহেতু অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশন, সেখানে তো একজন বাড়তি পেসার যাবেই।’
একই সঙ্গে ওপেনার নিয়েও কথা বলেছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার। এশিয়া কাপে দলে ওপেনার কম ছিলো। যারা ছিলেন তাদের একজন পারভেজ হোসেন ইমনকে কোন ম্যাচই খেলানো হয়নি।
এনামুল হক বিজয় আর নাইম শেখকে এক ম্যাচ খেলানোর পর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে দুই মেকশিফট ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান রুম্মনকে দিয়ে ওপেন করানো হয়েছে।
আশা করা যায় বিশ্বকাপে ফিরবেন এক নম্বর ওপেনার লিটন দাস। সে ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ওপেনিং কম্বিনেশন কি হবে? তবে একাদশে প্রতিষ্ঠিত ওপেনারদের দিয়ে ইনিংসের সূচনা হবে, নাকি মেকশিফট ওপেনাররা ওপেন করবেন? সে বিষয়টি পরিষ্কার করে জানাতে পারেননি বাশার।
তবে জানিয়েছেন, সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এখনো আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। কে হবে না হবে। এশিয়া কাপে শেষ ম্যাচে আমরা একটা ভিন্ন কম্বিনেশনে গিয়েছিলাম।
যেহেতু বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা, সেখানে আমরা কাউকে মেকশিপট ওপেনার করব কি না, নাকি নিয়মিত ওপেনার এটা নিয়ে এখনো আলোচনার বাকি আছে। হাতে কিছু সময় আছে, এই কদিনে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারব যে মেকশিপট ওপেনার নিয়ে চেষ্টা করব নাকি জেনুইন ওপেনার।