বিশ্বব্যাপী ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তায় এবার যোগ দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দিনকে দিন বাড়ছে ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সংখ্যা। আগামী
বছর জানুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-২০’ নামে আরও একটি টুর্নামেন্ট চালু হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ক্রিকেটে টুর্নামেন্ট সবার নজর কেড়েছে।
আইপিএলের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি। ইতোমধ্যেই খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে আইপিএল বাদে বিশ্বের অন্যান্য সব লিগকে পেছনে ফেলেছে নতুন এই টুর্নামেন্ট।
আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে ৬টি দল নিয়ে শুরু হবার কথা রয়েছে আমিরাত টি-টোয়েন্টি লিগ। ঠিক একদিন আগেই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। তবে
শুধু আরব আমিরাতের ক্রিকেটের লিগই নয়। একই সময় মাঠে গড়াতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন আরো একটি ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
যেখানে প্রতিটি দলের মালিক আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি। তাই এটিও অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন অনেকেই। ইতিমধ্যেই এই দুই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের লিগে
খেলতে নিবন্ধন করেছে ক্রিকেট বিশ্বের সকল তারকা ক্রিকেটার। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটাররা এই লিগেই খেলবে।
যার সুবাদে বিপিএলের তারকা বিদেশি ক্রিকেটারদের সংকটে পড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এছাড়াও একই সময় অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ এবং পাকিস্তান সুপার লিগ। তাই
এই দুই দেশের ক্রিকেটারদেরও পাওয়া যাবে না। তাইতো বিপিএলে ভালো মানের বিদেশি না থাকলে এটি ডিপিএলের মত হয়ে যাবে বলে মনে করছেন জাতীয় দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান লিটন দাস।
সম্প্রতি দৈনিক সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান বলেন, “ভালো মানের বিদেশি না থাকলে ঘুরেফিরে ডিপিএলের মতো হয়ে যাবে। সাদামাটা ক্রিকেটার বেরোবে। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল
পর্যন্ত যে বিপিএল খেলেছি এর কারণেই বাংলাদেশ দল খুব ভালো রেজাল্ট করেছে দেশে-বিদেশে। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে সিরিজ জিতেছি। এগুলোর কিন্তু প্রভাব পড়ে। বিপিএল সাদামাটা হয়ে গেলে তেমন একটা লাভ হবে না।”
“হয়তোবা টুর্নামেন্ট নিয়মিত হবে, কিন্তু ক্রিকেটারদের উন্নতি কম হবে। আন্তর্জাতিক মানে থাকতে হলে বিপিএলে বড় ক্রিকেটার আনতে হবে। চারজন বিদেশি দলে থাকা আর না থাকা বিশাল একটা ব্যবধান তৈরি করে। বিপিএলে ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার আনতে না পারলে আমাদের উন্নতি হবে না।”