গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস রচনা করেছে বাঙ্গালদেশের নারীরা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে ২৩ গোল। কিন্তু হজম
করে মাত্র এক গোল। কম গোল খাওয়া এবং ফাইনালে অসাধারণ নৈপুণ্যের কারণে টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের রূপনা চাকমা।কৃতি এই গোলরক্ষকের ওঠে এসেছেন
রাঙামাটির প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে। যে বাড়িতে রূপনা বড় হয়ে ওঠেছেন সেই ভাঙা বাড়ির ছবি সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এটি নজরে পড়ে তৎপর হয়েছে স্থানীয়
প্রশাসন। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রূপনার বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের হাতে তাৎক্ষণিকভবে দেড় লাখ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভাঙা ঘর সরিয়ে নির্মাণ
হবে পাকা বাড়ি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবর জানিয়েছেন রূপনা চাকমা নিজেই।তিনি লিখেছেন, ‘আজকের দিনটা আমার জন্য বিশেষ দিন। ডিসি স্যার নিজেই আমার বাড়িতে
গিয়ে ১.৫ (দেড় লক্ষ) টাকা চেক মায়ের হাতে প্রদান করলেন এবং আমার ছোট্ট বেড়া ঘরটি ভেঙ্গে একটি নতুন পাকা ঘর করে দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আরও আমাদের গ্রামে বাঁশের ভাঙ্গা
সেতুটা নতুন করে পাকা ব্রিজ করে দেওয়ার জন্য কথা দিয়েছেন। জানিনা এইসব আমার পাওয়ার যোগ্য কিনা তবে আমি জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে চাই। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাংলাদেশকে
আমরা প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি এবং শ্রেষ্ঠ গোল রক্ষক হিসেবে আমি নির্বাচিত হয়েছি। শুধু এখানে নয় আমি আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই এবংবাংলাদেশের নারী ফুটবলকে আরো বড় আকারে প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।’