ইনজুরি কাটিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে আবার বাংলাদেশ জাতীয় দলে ফিরেছেন ইয়াসির আলি রাব্বি। পিঠের চোটে সর্বশেষ এশিয়া কাপ দলে ছিলেন না এই ব্যাটার। গত বুধবার ঘোষিত ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ মিলেছে
ইয়াসিরের।দলে জায়গা পেয়ে অবশ্য ব্যাটিং পজিশন নিয়ে ভাবছেন না এই ব্যাটার। ঢাকা পোস্টকে জানালেন, যে পজিশনই হোক চাইবেন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করতে। বিশ্বকাপ দলে অভিজ্ঞ
ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ না থাকায় টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় আছেন ইয়াসির। সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন একাদশে। প্রথমবার বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়ে বেশ
আনন্দিত চাটগাঁয়ের এই ক্রিকেটার। এছাড়া মিডল অর্ডার এই ব্যাটার জানালেন, প্রথম লক্ষ্য থাকবে দেশের জন্য ভালো কিছু করার। ইয়াসির বলেন, ‘বিশ্বকাপের মতো এত বড়
আসরে বাংলাদেশ দলে নিজের নাম থাকাটা গর্বের। আমার লক্ষ্য একটাই, দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারা। যে পজিশনে ব্যাটিং করতে নামব, সে সময় দলের যেমন পরিস্থিতি থাকে
ওরকম পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব।’ধারণা করা হচ্ছে মিডল অর্ডারেই ইয়াসিরকে খেলাবে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে এখনো কোনো বার্তা পাননি ইয়াসির। সেক্ষেত্রে যে পজিশনই হোক ভালো করার চেষ্টা থাকবে তার। এ নিয়ে ইয়াসিরের
ভাষ্য, ‘এখনো কথা হয়নি পজিশন নিয়ে, হলে বুঝতে পারব। মিডল অর্ডার কিংবা লোয়ার মিডল অর্ডার যেখানেই হোক নিজে ভালো করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট
শ্রীধরণ শ্রীরাম আসার পর নাকি দলের সবার কার কী দায়িত্ব সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে ব্যাটার ইয়াসির রাব্বির দায়িত্ব কী থাকবে দলে, সেটা এখনো বলা হয়নি তাকে। মিডল অর্ডার এই ব্যাটার জানালেন, অনুশীলন হলেই
বাকিটা বোঝা যাবে। এ নিয়ে ইয়াসির বলেন, ‘ওইরকম আসলে কারোর সাথে কথা হয়নি। যখন টিম প্রাকটিস হবে তখন হয়তো বুঝতে পারব আমার ভূমিকা কী থাকবে। দলের অন্যদের কিছু বলছে কি না জানিনা,
তবে এখন পর্যন্ত আমার দায়িত্ব কী থাকবে সেটা বলেননি। মাঠের অনুশীলন শুরু হলেই সবকিছু জানা যাবে।’আগামী ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের
মিশন শুরু। বাছাইপর্বে ‘এ’ গ্রুপে যারা রানার্সআপ হবে তাদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচ ২৭ অক্টোবর সিডনিতে। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ব্রিসবেনের গ্যাবায় ৩০
অক্টোবর বাংলাদেশ লড়বে বাছাইয়ে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে। অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ শেষ দুটি ম্যাচ খেলবে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২ নভেম্বর ভারত আর ৬ নভেম্বর পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই সাকিবদের।