সদ্য ঘোষিত টি২০ দল নিয়ে চলছে বিস্তর সমালোচনা। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কে দল থেকে ছেটে ফেলা নাজমুল হোসেন শান্ত কে দলে নেয়া বা মুশফিকুর রহিমের এই ফরম্যাট থেকে হঠাৎ অবসর
এসব নিয়েই বেশ গরম হাওয়া বইছে দেশের ক্রিকেটে। পৃথিবীর সব ক্রিকেট দলেই খেলোয়াড় আসে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কেও ইচ্ছে করলেই দলে ঢুকতে পারে না। তাদের দলে আনেন নির্বাচকরা। এজন্য
তাদের পারফরম্যান্স বিবেচনা করে থাকেন এই নির্বাচক প্যানেল। ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান বিবেচনায়ই একজন খেলোয়ার জাতীয় দলে ঢুকতে পারে।
এতো ক্ষমতা জাদের সেই পদে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে আছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু হাবিবুর বাসার সুমন আর আকরাম খানের মতো সাবেকরা। কিছুদিন আগে আকরাম খান এই পদ থেকে সরে গেলে সেখানে এখন কাজ করছেন আব্দুর
রাজ্জাক। কিন্তুু তাদের সময়ে কতটা এগিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। মাশরাফি সাকিব তামিম মুশফিক রিয়াদের পর আর কোনো প্রতিভা কি তারা তুলে আনতে পেরেছেন?এদের বিদায়ের পর কারাই বা দলের হাল ধরবেন? ইতিমধ্যেই সাকিব ছাড়া
বাকি চারজন টি-২০ দলে নেই। টেস্টে নেই মাহমুদউল্লাহ মাশরাফি। তাহলে তাদের জায়গায় কারা এলেন?এসব দেখার দায়িত্ব নির্বাচকদের। ঘরোয়া লিগে খেলোয়াররা কেমন করছেন বা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা নতুন প্রতিভা খুজে বের করার
দায়িত্ব নান্নু বাসার রাজ্জাকদের। অথচ গত এক দশকে তেমন কোনো খেলোয়ার তারা খুজে বের করতে পারেননি।ঘুরেফিরে বার বার খারাপ করা শান্ত সৌম্য নাঈম সাব্বিরাই সুযোগ পাচ্ছেন। পাইপলাইনে ভালো
খেলোয়াড় না থাকা নাকি নির্বাচকদের খেলোয়ার খুজে বের করে আনতে না পারা কোনটা দায়ী। খেলোয়ার তৈরী করার জায়গা ঘরোয়া লীগ সেখানেই বা তারা কতটা উন্নতি করতে পেরেছেন?সঠিক
অবকাঠামো কি আসলেই তৈরী হয়েছে? মানসম্মত পিচ ভালো মাঠ কোনোটাই বিসিবির নেই। একজন খেলোয়ার ঘরোয়া লিগে হাজার রান করেও আন্তর্জাতিক খেলায় রান করতে পারে না।
আবার ৫০ ওভারের ম্যাচে ভালো খেলা খেলোয়াড়কে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে টি-২০ তে।দিনের পর দিন রান করা তুষার ইমরান নাঈম ইসলামরা দলের জন্য বিবেচিত হন না। অথচ শান্ত কোথাও রান না করেই বার বার জাতীয় দলে ফিরছেন।…)
কিন্তুু যারা এসবের মুল নায়ক সেই নির্বাচকদের কি অবস্থা?প্রায় একযুগ ধরে নির্বাচক পদে থাকা নান্নু-বাশারদের পরিবর্তন আসবে কবে? নির্বাচক প্যানেলে নতুন মুখ আসবে। এমনটিই প্রশ্ন সবার সবাই চায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত? ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার মতো
দলগুলো বিশ্বকাপ জিতলেও সময় শেষ হয়ে গেলেই বদলে ফেলে নির্বাচক। তাহলে কোন শক্তিতে নান্নু বাসার আকরাম খানরা এক যুগ ধরে একই পদে আছেন। আসবে কি পরিবর্তন নাকি যা আছে তাই ভালো এই নীতিতেই চলবে বিসিবি।