আজ থেকে মিরপুরে শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশেষ প্রস্তুতি ক্যাম্প। ক্যাম্পে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সহ ছিলেন এইচপি এবং বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা। ব্যাট হাতে একাধিকবার সুযোগ দেয়া হয়েছে ব্যাটসম্যানদের।
ম্যাচ সিনারিওতে অনুশীলন করেছে ক্রিকেটাররা। সকাল ৯ টার ভিতরেই মিরপুরে চলে আসেন ক্রিকেটাররা। এরপর হালকা ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর ম্যাচে ঢুকে যান ক্রিকেটাররা। এশিয়া কাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান
মিরাজ ইনিংস উদ্বোধনে নেমেছিলেন। এছাড়াও একাধিকবার সুযোগ দেয়া হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। ব্যাটিং করেছেন লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার সহ বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান। চারবার ব্যাটিং এর সুযোগ পেয়ে দুইবার আউট হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
মিরাজ দুইবারে দুইবারই আউট হয়েছেন। আফিফ একবার। তিনবারের মধ্যে তিন বারই আউট হয়েছেন সৌম্য সরকার। তবে লিটন তিনবার ব্যাটিং পেয়ে একবারও আউট হননি। আর মধ্যভাবে মোসাদ্দেক ও মাহমুদউল্লাহ টানা ব্যাটিং করেছেন।
অনুশীলন শেষে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, “অনুশীলনে আসলে দুদিকে চ্যালেঞ্জ ছিল। ব্যাটাসম্যানদের জন্য প্লাস বোলারদের জন্যও। প্রথম ৬ ওভারে আমরা কী চাই? ব্যাটসম্যানরা কীভাবে ব্যাটিং করবে, বোলাররা কীভাবে বোলিং করবে।
৬ ওভার শেষ হতে ৩০ মিনিটের মতো লাগে, আমাদের লেগেছে ৪৫ মিনিটের মতো”। “প্রত্যাকেটা বোলারের সঙ্গে কোচ কথা বলছেন, কী করতে চাচ্ছে, সেটা এক্সজিকিউট করতে
পারছে কি না। ওইগুলোর একটা ম্যাচের আবহে অনুশীলন। একইসঙ্গে ডেথ ওভারে আমরা কী চাই, স্লোয়ার, ইয়র্কার, সেটা কখন কিভাবে করব, ফিল্ড প্লেসিং কী হবে, ব্যাটসম্যান কারা।”
“আজকে যেমন টার্গেট ছিল প্রথম ৬ ওভারে ৫০ রান, ২ উইকেট আমরা হারাতে পারব। আর বোলারদের জন্য ছিল ৬ ওভারে ৪৫ রানের নিচে রাখতে হবে। এসবের জন্যই মূলত এই অনুশীলন। বেশি অনুশীলন
করলে ছেলেদের মধ্যে চিন্তার শক্তিটা হয়তো বাড়বে। পাওয়ার হিটিংয়ের ব্যাপারটা তো এর মধ্যে থাকছেই”। “সিনারিও যদি এরকম আসে যে, কোনো ওভারে যদি ১৪-১৫ রান করে দরকার সেক্ষেত্রে নতুন
একটা ব্যাটসম্যানের নেমে যাতে সামর্থ্য থাকে ছয় মারার। এই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করছি। আমার মনে হয় আমরা এরকম নির্দিষ্ট করে কাজ খুব কম করেছি। টি-টোয়েন্টি মাথায় রেখে আমরা এই কাজগুলো করছি।”