২৪ ঘন্টা খবর:
মোবাইল ফোনে পরিচয়। মাঝে মধ্যে চলতো খুনসুটি। এভাবেই একে অন্যের সাথে তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। কিশোরীর বয়স কেবল ১৫ হলেও প্রেমিকের আছে বউ বাচ্চা। সব জেনেও চলছিল অদম্য প্রে’মালাপন। প্রথম সাক্ষাতেই প্রেমিকের কুকর্মের শিকার হয় ওই কিশোরী। শুধু প্রেমিক
নয় প্রেমিকের মামাও অংশগ্রহণ করেন এই কুকর্মযজ্ঞে। পরে আরো একজন অংশ নিতে চাইলে কিশোরী কান্না আর ক্ষমা প্রার্থনায় প্রাণে রক্ষা পায় ওই কিশোরী। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের দোলালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাতে এই ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে
থানায় মামলা করেন। এই মামলায় লক্ষিন্দর ইউনিয়নের মুরাইদ গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে মোস্তফা (২৩) এবং একই এলাকার মফেজ উদ্দিনের ছেলে মোফাজ্জল (৩২) কে আটক করেন পুলিশ। সা’গরদিঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মনিরুজ্জামান (ইন্সপেক্টর)ও কিশোরীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই তরুণীর সাথে
মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় মোস্তফার। মাঝে মাঝে কথা হতো তার সাথে। গত দুই দিন আগে ওই তরুনী পরিবারের সাথে রাগ করে চাকরির খোঁজে চলে যা’য় গাজীপুর। কোথাও চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে ওই মেয়ে। পরে মোস্তফাকে বিষয়টি জা’নালে সে ওই তরুনীকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে তার কাছে ডেকে নেন।
মোস্তফা ওই মেয়েকে পরের দিন একটা চাকরির ব্যাবস্থা করে দিবে বলে এক রাত অপেক্ষা করতে বলেন। পরে মোস্তফা তার প্রতিবেশি এক মামা মোফাজ্জল হোসেনের ফাঁ’কা বাড়িতে নিয়ে যায় ওই মেয়েকে। এরপর মামা ভাগিনা দুইজনে মিলে পালাক্রমে চালায় অত্যাচার। এসময় ধর্ষিতা
চিৎকার করলে মোস্তফা তার মামাকে টেলিভিশনের ভলিয়ম বাড়িয়ে দিতে বলে। ধর্ষিতাকে নানা ভয় দেখিয়ে চলতে থাকে পাশবিকতা। এই সময় আরো একজন উপস্থিত হয় এতে অং’শগ্রহন করতে। কিন্তু মেয়েটি কান্না করে ক্ষমা চাওয়ায় বেচে যায় তার হাত থেকে। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে সাগরদিঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালে স্থানীয়
লোকজনসহ পুলিশ তাদের আটক করেন। এই বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম বলেন, এই ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে এবং ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।