এশিয়া কাপে তার কাছ থেকে প্রত্যাশা ছিল অনেক। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ও অনেক গর্ব করে বলেছিলেন যত সময় আমরা এনামুল হক বিজয়কে পেয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে
পারেননি এনামুল হক বিজয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটেই সুযোগ পেয়ে যান এনামুল হক বিজয়। এরপর জিম্বাবুয়ে সফরে ও বাংলাদেশ দলে
ছিলেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স করলেও টি-টোয়েন্টিতে হতাশ করেছেন তিনি। সাত বছর পর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের সুযোগ পেয়ে এখন পর্যন্ত ৮ ইনিংস
খেলেছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সুযোগ পেয়ে প্রথম ম্যাচে করেন ১০ বলে ১৬ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৪ বলে ৩ এবং তৃতীয় ম্যাচে করেন ১১ বলে ১০ রান।
এরপর জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সুযোগ পান তিনি। যেখানে প্রথম ম্যাচে তিনি করেন ২৭ বলে ২৬ রান, দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ১৫ বলে ১৬ রান এবং তৃতীয় ম্যাচে
করেন ১৩ বলে ১৪ রান। লিটন দাস না থাকায় এরপরেও এশিয়া কাপের মতো বড় এভেন্টে বাংলাদেশ দলের সুযোগ পান তিনি। কিন্তু প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৪ বলে
তিনি করেন ৪ রান। সুযোগ পেয়েও সেটি কাজে লাগাতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। সর্বশেষ এশিয়া কাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচে একাদশ থেকে বাদ পড়েন তিনি। অন্যদিকে
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি।