চলমান আইপিএল মাতাতে বাংলাদেশ থেকে সুযোগ পেয়েছিল তিন ক্রিকেটার। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে এনওসি না পাওয়া ও ‘ফ্যামিলি ইমার্জেন্সির কারণে সরে দাঁড়ান সাকিব আল হাসান। টাইগার অলরাউন্ডার না খেললেও মুস্তাফিজুর রহমান ও লিটন দাস আছেন টুর্নামেন্টটিতে। মুস্তাফিজ আছেন দিল্লিতে ও লিটন আছেন কলকাতায়।
এরই মধ্যে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন মুস্তাফিজ। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এখনো খেলার সুযোগ পাননি প্রথমবার আইপিএল খেলতে যাওয়া লিটনের। অভিষেকের অপেক্ষায় আপাতত সময় কাটছে সাইড বেঞ্চে বসেই।
এমনিতেই আইপিএলের তুমুল জনপ্রিয়তা আছে বাংলাদেশে। সেই জনপ্রিয়তা বাড়তি মাত্রা পেয়েছে টাইগার ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণের কারণে। মুস্তাফিজদের খেলা দেখেন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনও। তবে এবার তারাবি নামাজের কারণে খেলা দেখার সুযোগ কমেছে তার। অবশ্য বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা খেললে তবুও খেলা দেখার চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আইপিএল প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘আসলে আইপিএল খুব একটা দেখা হচ্ছে না। তবে আমি দেখি না যে তা নয় কিন্তু। কেকেআরের খেলা থাকলে আগে দেখি যে স্কোয়াডে (লিটন) এবং দিল্লির খেলা থাকলে দেখি স্কোয়াডে (মুস্তাফিজ) আছে কি না। যদি দেখি আছে তাহলে একটু দেখি। কারণ এখানে টাইমিংটা তারাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে গেছে। তারপরেও আগে দেখি আছে কি না যদি থাকে তাহলে দেখার চেষ্টা করি।’
ক্রিকেটারদের আইপিএলে অনাপত্তি দেয়ার ইস্যুতে পাপন বারবারই বলেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিরা বাংলাদেশীদের খেলাবে কী না এ নিয়ে তার সন্দেহ আছে। তা যেন ফলে গেছে। দুই ম্যাচ যাবত লিটন বসে আছেন ডাগ আউটে, মোস্তাফিজকে চাটার্ড বিমানে উড়িয়ে নিয়েও প্রথম তিন ম্যাচ বসিয়ে রেখেছে ডাগ আউটে।
বিসিবি সভাপতির কাছে জানতে চাওয়া হয় আইপিএলে খেলাবে কি খেলাবে না এটা তিনি আগে থেকে কিভাবে জানেন। জবাবে পাপন বলেন, ‘জানে সবাই, ওরাও জানে। এখানে অজানা কিছু নেই। এটা যারা গেছে তারাও জানে।’