1. Mijankhan298@gmail.com : Mijankhan :
  2. msthoney406@gmail.com : ২৪ ঘন্টা খবর : ২৪ ঘন্টা খবর
জয়ের আশা ভেঙ্গে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ এখন দর্শক - ২৪ ঘন্টা খেলার খবর!

জয়ের আশা ভেঙ্গে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ এখন দর্শক

  • আপডেট করা হয়েছে: শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩০৩ বার পঠিত:

ঘরে ফেরার তাড়া ছিল না। তবুও ফিরতে হচ্ছে টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড থেকেই। বাংলাদেশের এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেছে আফগানিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার কাছে ম্যাচ হারে। যে এবাদত হোসেন হতে পারতেন অভিষেকে নায়ক, তাঁর ভুলেই কিনা ললাটে

পরতে হলো পরাজয়ের তিলক। ওয়াইড ও নো বলের মচ্ছব করে এখন খলনায়ক এবাদত। বোলারদের ওয়াইড আর নো করার মচ্ছবে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে ২ উইকেটে। আফগানিস্তান টানা দুই ম্যাচ

জিতে বাকি দুই প্রতিপক্ষের সমীকরণটা কঠিন করে দিয়েছিল আগেই। এশিয়া কাপে টিকে থাকতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততেই হতো বাংলাদেশকে। কঠিন সে চ্যালেঞ্জ জেতা হলো না। এশিয়া কাপ শুরুর দিন থেকেই

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ ছিল। লঙ্কান দলপতি দাসুন শানাকার কথার খোঁচায় তেতে উঠেছিল বাংলাদেশ। শানাকা বলেছিলেন, বাংলাদেশের বোলিং আফগানিস্তানের মতো শক্তিশালী নয়। টাইগারদের বিপক্ষে ভালোই খেলবেন তারা। এরপরই কথার লড়াই জমে ওঠে। মেহেদী হাসান মিরাজ সংবাদ সম্মেলনে মাঠেই দেখে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গতকাল

লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে কিছু একটা করেও দেখালেন তিনি। জবাব দেওয়ার চ্যালেঞ্জটা শুধু মিরাজই নন, পুরো দলই ঝাপিয়ে পড়েছিল। বড় স্কোরের লক্ষ্যে বিস্ম্ফোরক ব্যাটিং করতে মনোযোগী ছিলেন সবাই। কিছুটা সুবিধা পাওয়া

গেছে উইকেট থেকেও। সবকিছু মিলিয়ে লঙ্কানদের বিপক্ষে ভালো ব্যাটিং করেছে টাইগাররা। ১৮৩ রান করেছে ৭ উইকেটে। এই ম্যাচে নতুন ওপেনিং জুটি খেলেছে। এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখকে বাদ দিয়ে মেহেদী মিরাজ ও সাব্বির রহমানকে দিয়ে

ওপেন করায় টিম বাংলাদেশ। ১৯ রানে জুটি ভাঙলেও টিম রোল অনুসরণ করে গেছেন পরের ব্যাটাররা। মিরাজ ওপেনিংয়ে খেলার সুযোগ দারুণ কাজে লাগান। সাহসী ব্যাটিং করে চার-ছক্কার ফোয়ারা ছোটান তিনি। ২৬ বলে ৩৮ রানে

উইকেট হারান তিনি। দুটি করে চার-ছক্কা দিয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। সাকিব আল হাসান ছয় না পেলেও তিন চারে ২৪ রান করেন। ওপেনিং দুর্বলতায় পাওয়ার প্লেতে এত দিন খুব বেশি রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। মেরে-কেটে ২৪ থেকে ২৫ রান

হতে দেখা গেছে বেশিরভাগ ম্যাচে। গতকাল সেখানে ৫৫ রান উঠেছে এক উইকেটে। ১০ ওভার শেষে দলীয় স্কোর ছিল তিন উইকেটে ৮৩। সাকিবরা যেখানে শেষ করেছেন আফিফ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সেখান থেকে নতুন শুরু এনে দেন। আফিফের

কারণেই মাঝের ওভারগুলোতে রানরেটে তেমন প্রভাব পড়েনি। ১৩, ১৫, ১৬ ও ১৮তম ওভারে চার-ছক্কা পাওয়ায় বড় স্কোর গড়ে তোলা সহজ হয়। আফিফ-মাহমুদউল্লাহ ৩৭ বলে ৫৭ রানের জুটি করেন। ২২ বলে ৩৯ রান আফিফের। ৪টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি। মোসাদ্দেকের চারটি বাউন্ডারি আর তাসকিনের একটি ছক্কাও কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। অগ্রজদের

আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ছোঁয়া মাহমুদউল্লাহর ব্যাটেও কিছুটা লেগেছে। যে কারণে ২২ বলে ২৭ রান পাওয়া গেছে বর্ষিয়ান এ ব্যাটারের কাছ থেকে। স্কোরবোর্ডের বড় পুঁজি দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছে বোলারদের। সাকিবের একটি ওভার বাদ দিলে টান টান উত্তেজনা রেখে বোলিং করে গেছেন সবাই। রাতে পেসাররা একটু বেশিই সুবিধা

পাচ্ছিলেন। অভিষেকেই ব্রেক থ্রু দেন পেসার এবাদত হোসেন। টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতায় চাপহীন বোলিং করে গেছেন তিনি। নিজের অভিষেক ওভারেই লঙ্কানদের দুবার স্যালুট

দেন জোড়া উইকেট নিয়ে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের তৃতীয় এবং ষষ্ঠ বলে নিশাথা ও আশালঙ্কাকে আউট করেন তিনি। শ্রীলঙ্কা পাওয়ার প্লে শেষ করে ২ উইকেটে ৪৮ রানে। মুশফিকুর

তাসকিনের বলে কুশাল মেন্ডিসের ক্যাচ ফেলে না দিলে তিন উইকেটও হতে পারত। নিজের দ্বিতীয় ওভারেও উইকেট পান এবাদত। তাসকিন নেন পরের ওভারে। টাইগার এ ফাস্ট বোলার

দুর্দান্ত একটি ক্যাচও নেন। উইকেট হারালেও পাল্লা দিয়েই রান তুলে গেছে শ্রীলঙ্কা। ১০ ওভার শেষে এক উইকেট বেশি হারালেও বাংলাদেশের চেয়ে মাত্র তিন রান পেছনে ছিল তারা। লঙ্কান ওপেনার

কুশাল এদিন কপাল নিয়ে নেমেছিলেন। তিন তিনবার জীবন পেয়ে বড় ইনিংস খেলে দেন তিনি। ২ রানে মুশফিকের হাতে, ৩২ রানে তার ব্যাট ছুঁয়ে বল মুশফিকের গ্লাভসে জমা পড়লেও রিভিউ নেয়নি। সাব্বির রহমানের ভুলে ৪৪

রানে রানআউট হওয়া থেকে বেঁচে যান কুশাল। এর পরেও বোলিং ভালো হচ্ছিল। বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে ১৩তম ওভারটি। প্রথম স্পেলের দুই ওভারে ১৩ রান দিয়ে তিন উইকেট পাওয়া এবাদত ২২ রান দেন তৃতীয় ওভারে। ফ্রি দিয়েছেন দুটি

ওয়াইড ও একটি নো বল। ৯ বলের ওভার শেষে লঙ্কানরা জেঁকে বসে ব্যাটিংয়ে। ১৫তম ওভারে কুশালের ক্যাচ নিয়ে দলের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনেন তাসকিন। মোস্তাফিজের নামের পাশে উইকেট লেখা হলেও বাহবা কুড়িয়েছেন তাসকিন। তিনবার জীবন

পাওয়া কুশাল ৩৭ বলে ৬০ রান করেন ৪টি চার ও তিন ছক্কায়। শেষ ৩০ বলে ৪৭ রান করতে হতো শ্রীলঙ্কাকে। তাসকিনের বলে হাসারাঙ্গার ক্যাচ আউটে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ডিপ কভারে দৌড়ে এসে এক হাতে বল তালুবন্দি করেন আফিফ। শেষ ৩০ বলে ৪৭ রান করতে হতো শ্রীলঙ্কাকে। তাসকিনের বলে

হাসারাঙ্গার ক্যাচ আউটে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ডিপ কভারে দৌড়ে এসে এক হাতে বল তালুবন্দি করেন আফিফ। ১৪ বলে ২৮ রানের টার্গেটে পেন্ডুলামের মতো দুলছিল ম্যাচ। ৪৫ রানে শানাকার ক্যাচ আউট বাংলাদেশকে কিছুটা এগিয়ে দিলেও শেষরক্ষা হয়নি।

খবরটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2022 24hourskhobor.com
Site Customized By NewsTech.Com