সময়ের সবচেয়ে বড় ফুটবল তারকাদের তিন জন লিওনেল মেসি, নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপে। পুরো বিশ্বের মতো তাদের তুমুল জ’নপ্রিয়তা রয়েছে জাপানেও। পিএসজির প্রাক-মৌসুম সফরে নিজ দেশে এই তিন তা’রকাকে পেয়ে আনন্দে মাতোয়ারা এশিয়ার দেশটির ভক্তরা। প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে
রোববার জাপানে পৌঁছেছে পিএসজি। জাপানে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মেসি, নেইমার এবং এমবাপে। দেশটিতে তাদের দারুণভাবে স্বাগত জানানোর জন্য ভক্তদের প্রতি কৃ’তজ্ঞতা প্রকাশ করেন এমবাপে। “এখানে আসতে
পারা আমাদের জন্য আনন্দের। বিমানবন্দরে ও হোটেলে আসার পর থেকে আমরা অসাধারণ অভ্যর্থনা পেয়েছি এবং আশা করছি এখানে ক’য়েকটা দিন ভালো কাটবে।” জাপানের ভক্তদের ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মেসি। “আ’মরা জানি যে জা’পানি সম’র্থকরা খুব অ’নুগত এবং আ’মরা
তাদের সে ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে চাই।” জাপানের জাতীয় দল সম্পর্কে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল তিন জনের কাছে। প্রত্যেকেই জাপান দলের খেলার প্রশংসা করার পাশাপাশি কাতার বি’শ্বকাপে দে’শটির ভালো করার সম্ভাবনায় একমত প্র’কাশ করেন। বিশ্ব সেরার মঞ্চে ‘ই’ গ্রুপে জাপানের তিন
প্রতিপক্ষ স্পেন, জার্মানি এবং কোস্টা রিকা। সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে শিশুদের প্রশ্নের জবাব দেন প্যারিসের ক্লাবটির আক্রমণত্রয়ী। কীভাবে ফুটবলার হিসেবে সফল হওয়া যায় সে বিষয়ে তাদের পরামর্শ দেন মেসি। “সব’চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শৈশবে ফুটবল উপ’ভোগ করা। যেমন ফু’টবলের মাধ্যমে আমি দায়িত্ব,
প্রচেষ্টা, ত্যাগ এবং বন্ধুত্ব সম্পর্কে জানতে পেরেছি।” সবচেয়ে মজার ছিল নেই’মারের অংশ। সংবাদ স’ম্মেলনে তার হেডফোন ঠি’কমতো কাজ করছিল না। ফলে অনু’বাদে তার সমস্যা হচ্ছিল। তখন ব্রা’জিলিয়ান
ফরোয়ার্ড বলে ওঠেন, “আমার অনুবাদক লিও (মেসি)।” জা’পানিজ ভাষায় কথা বলে আলাদাভাবে ভক্তদের মন জ’য় করে নেন এমবাপে। একটি প্রশ্নের জবাব দে’ওয়ার পর তিনি বলেন ‘আরিগাতো’- যার অর্থ ‘ধন্যবাদ’।