সবশেষ এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাংলাদেশের বাদ পড়ার একটি বড় কারণ ছিল চাপের সময়ে পেসারদের খেই হারানো। টুর্নামেন্টের পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামের ময়না তদন্তেও উঠে আসে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে
বোলারদের ছন্দ হারানোর দায়। চোটের কারণে এশিয়া কাপে ছিলেন না হাসান। তবে নিজেদের ঘাটতির জায়গাটা জানেন। বিশ্বকাপে তাকিয়ে তাই সামনের পথচলায় করণীয় ঠিক করে ফেলেছেন তিনি। “যখন চাপের সময়
আসে, তখন হয়তো আমরা বেশি প্যানিকড হয়ে যাই, আমাদের যে মূল স্কিল, ওটা হয়তো ভুলে যাই। এই ব্যা’পারটি সত্যি বলতে আমাদের নিয়মিত চালিয়ে নিতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে আমাদের ওই জিনিসটা কাজে লাগাতে হবে। এটা আমাদের শিখতে
হবে।” আপাতত হাসানের বড় চ্যালেঞ্জ পুরো ফিট হয়ে ঠিকঠাক মাঠে ফেরা। এশিয়া কাপের আগে গোঁ’ড়ালিতে পাওয়া চোট থেকে সেরে উঠেছেন অনেকটাই। এখন স্রেফ বোলিং শুরুর অপেক্ষা। বিসিবির ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম শুক্রবার জানান, শুরু থেকেই
শতভাগ দিয়ে বোলিং করতে পারবেন হাসান। ছোট্ট ক্যারিয়ারে এর মধ্যেই কয়েক দফায় চোট জাপ্টে ধরেছে তাকে। তাতে অবশ্য হতাশ হচ্ছেন না তিনি। পেসারদের বা’স্তবতা মেনেই নিজের কাজ করে যেতে চান হাসান। “ফাস্ট বোলারদের জন্য ইনজুরি জিনিসটা… মানে
একটা বন্ধুর মতো এসে আবার চলে যায় (হাসি)। এটা নিয়ে কাজ করার মধ্যে থাকতে হবে। ফিটনেস বলুন বা বোলিং নিয়ে কাজ, সব কিছু মিলেই এটা ধারাবাহিকতার ব্যাপার। নিয়মিত আপনি যখন কাজে থাকবেন, তখন এই জিনিসটা হয়ত হবে না।” চোটে পড়ার আগে
গত ম্যাচে জিম্বাবুয়েতে দুটি ওয়ানডে এবং দুটি টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেন তিনি। গতি তার বরাবরই সহজাত। জিম্বাবুয়েতে তিনি নজর কাড়েন সুইং এবং নিয়ন্ত্রণ দিয়েও। “সবশেষ আমার যে পারফরম্যান্স দেখেছিলেন জিম্বাবুয়েতে, তাতে আমার আত্মবিশ্বাস
ছিল যে হয়তো জায়গা ধরে রাখতে পারব দলে। এমনটাই হয়েছে। জিম্বাবুয়ে যে সিরিজটা খেলেছিলাম, ওটা থেকে খুবই আ’ত্মবিশ্বাসী আমি নিজেই। যেহেতু এখন বিশ্বকাপ দলে আছি, নিজের সেরাটাই দিতে চাই।”
বিশ্বকাপের আগে অক্টোবরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। এর আগে হবে দু’বাইয়ে অনুশীলন ক্যাম্প ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।