এবারের এশিয়া কাপে দারুণ ছন্দে আছে আফগানিস্তান। গ্রুপপর্বে দুই ম্যাচ জিতে সুপার ফোরে উঠেছে মোহাম্মদ নাবির দল। গ্রুপপর্বে তারা একবার হারিয়েছিল শ্রীলংকাকে। ফের সেই শ্রীলংকার মুখোমুখি
হয়ে ভালো সূচনা করে আফগানিস্তান। শারজায় সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলংকা। প্রথম ২ ওভারে মাত্র ১১ রান আসার পর তৃতীয় ওভারেই চড়াও হন গুরবাজ। লঙ্কান অফস্পিনার মাহিশ থিকশানাকে
টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটার। পরের ওভারে পেসার আসিথা ফার্নান্ডোকে হাঁকান আরও একটি ছক্কা ও চার। ইনিংসের তৃতীয় আর চতুর্থ ওভার মিলিয়ে ২৯ রান তুলে নেয় আফগানিস্তান। তবে
পরের ওভারে মধুশঙ্কা বোল্ড করে ফেরান ওপেনিংয়ে গুরবাজের সঙ্গী হজরতউল্লাহ জাজাইকে (১৬ বলে ১৩)। ভাঙে ২৯ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো উদ্বোধনী জুটি। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪৯ রান তোলে আফগানরা। এরপর ২২ বলে ফিফটি তুলে
নেন গুরবাজ, যা কিনা আফগানিস্তানের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম। দেশের পক্ষে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবির (২১ বলে)। শ্রীলংকাকে পেলেই যেন জ্বলে উঠেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। গ্রুপপর্বে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১৮ বলে খেলেছিলেন
৪০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। মাঠে রীতিমত চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দিচ্ছিলেন গুরবাজ। অবশেষে ১৬তম ওভারে এসে তাকে ফেরান আসিথা ফার্নান্ডো। এবারও ছক্কাই হাঁকাতে গিয়েছিলেন গুরবাজ। কিন্তু বল অনেক ওপরে উঠে যায়, মিডউইকেটে কঠিন
ক্যাচ তালুবন্দী করেন হাসারাঙ্গা। রহমানুল্লাহ গুরবাজ যে ইনিংসটা খেলে দিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছিল আফগানিস্তানের সংগ্রহ দুইশর কাছাকাছি হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে দারুণ বোলিং করে আফগানদের বিশাল পুঁজি গড়তে দিলো না শ্রীলংকা। শেষ ৫
ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান তুলতে পেরেছে মাত্র ৩৭ রান। সবমিলিয়ে ২০ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৫ রান। অর্থাৎ জিততে হলে শ্রীলংকা করতে হবে ১৭৬।