মিরপুরে গতকাল সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশ দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন জানিয়েছিলেন ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে না ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু একদিন
পরে আজ শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নানু জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। আগামী ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৪ নম্বর
ব্যাটিং পজিশনের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে লিটন দাশকে। এশিয়া কাপ থেকে ফিরে এই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
মূলত সেই জায়গায় পূরণ করতে লিটন দাসকে ব্যাটিং করাতে চাই টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু এশিয়া কাপের আগে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছিল এখন থেকে ৪ নম্বর ব্যাটিং পজিশনে খেলবেন আফিফ হোসেন। তবে এখনো এ বিষয়ে
কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নান্নু। এক সাক্ষাৎকারে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, “আমরা ওকে (লিটন) চার নম্বরে নামানোর কথা ভাবছি। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ইমরুল কে নিয়ে তেমন কোনো সুসংবাদ শোনা জায় নি এখোনো ।
তবে এই বিষয়ে লিটনের সাথে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্ন, “দেখুন, আমরা লিটনকে ওপেনিংয়ের জন্য ভাবছি না এখন। তবে সে নিজে এ সিদ্ধান্তটি কীভাবে নেয়,
কী ভাবছে সেটিও এখানে দেখতে হবে। আমরা সামনের অনুশীলনে ওর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবো। এখানে পরিস্কার বোঝা জায় ওপেনিংএ নতুন কিছু ভাবসে বাংলাদেশ, সেদিক
দিয়ে কোনা রকম সিন্ধান্ত কথা জানা জায়নি এখোনো। বেশ খানিকটা পথ অতিক্রম করে এখনো বাংলাদেশ দলে তেমন কোনো ভরসাবান ক্রিকেটার ওপেনিংএ পাওয়া জায়নি,
লিটনকে চারে পাঠিয়ে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে পাঁচ নম্বরে নামানো হবে জানিয়ে নান্নু আরও বলেন, “লিটন যদি রাজি হয়, তাহলে তাকে চারে পাঠানো হবে এবং আফিফ আসবে পাঁচে। ছয় নম্বরের
জন্য বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছে। আসন্ন বিশ্বকাপে (অস্ট্রেলিয়ায়) আমাদের লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ প্রয়োজন। নতুন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামও এটি চান জানিয়ে নান্নু যোগ করেন, “শ্রীরামও এটি চায়। সে লিটনকে
ব্যাট করতে দেখে বলেছে, চার ও পাঁচ নম্বরে লিটন-আফিফের মতো ব্যাটার প্রয়োজন। কারণ পাওয়ার প্লে শেষ হলে বাউন্ডারি হাঁকানো কঠিন। তখন তারা গ্যাপে খেলে রান বের করতে পারে। ওদের পাওয়ার হিটিংও বেশ ভালো।