ইনজুরির কবলে না পড়লে হয়তো এখন ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বিও থাকতেন দুবাইতে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ দলের অনুশীলনে। এ নিয়ে নিজের ভাগ্যেকে দোষ দিচ্ছেন না রাব্বি, মেনে নিচ্ছেন সৃষ্টিকর্তা যা কপালে রেখেছেন তাই হবে। আগামী
সিরিজে জায়গা পেতে করে যাচ্ছেন কঠোর অনুশীলন। নিজেকে আবারো মাঠের ক্রিকেটে প্রস্তুত করে তুলতে ইয়াসির রাব্বি মিরপুরের একাডেমি মাঠে করছেন ব্যাটিং অনুশীলন। এর মাঝেই ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদক সাকিব শাওনের সঙ্গে কথা বলেছেন
এশিয়া কাপ, নিজের ফিটনেস এবং সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের কাছ থেকে কেমন পারফরম্যান্স আশা করছেন? -আসলে তেমন কিছুই ভাবছি না,
শুধু এটুকুই চাই ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো খেলা। এশিয়া কাপে কোন ক্রিকেটারের প্রতি বাড়তি প্রত্যাশা আছে? যে খারাপ খেললে খুবই হতাশ হবেন? -আমি একজন
ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসেবে কখনো আশা করি না যে কেউ খারাপ খেলুক। খারাপ খেললে সে যেই হোক, আমাদেরই সহযোদ্ধা। আমিও ক্রিকেটার আমারও খারাপ সময় যায় মাঝে মাঝে,
কেউ খারাপ করলে আমি বুঝি তার মনের ভেতর কি চলছে। এজন্য চাই সবাই ভালো করুক। সবাই পারফর্ম করে আবারো নিজেকে প্রমাণ করুক। ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপের মত এমন বড় মঞ্চ থেকে
ছিটকে গেছেন, কতটা মিস করছেন দলকে? -মিস করাটা স্বাভাবিক। এশিয়া কাপের মত এত বড় আসরে খেলতে পারাটা আমার জন্য বড় সুযোগ হতে পারতো। আর মিস করছিই, মহান আল্লাহ পাক যা কপালে রেখেছেন তাই হবে, এর বেশি
আর পরিবর্তন করা যাবে না। নতুন কনসালট্যান্ট নিয়োগ, একই সঙ্গে সাকিব আল হাসান ফিরেছেন অধিনায়কের দায়িত্বে এতে করে দলের আবহাওয়া কতটা পরিবর্তন হবে? -আমি এই মুহুর্তে দলে নেই। এক সঙ্গে না
থাকলে বোঝা যায় না, তাই বলতে পারছি না। আর এটা নিয়ে মন্তব্য করাটা উচিত হবে না। তবে আশা করছি সবকিছু ঠিক ভাবেই হবে। আপনি নিজে কতটা ফিট! কবে নাগাদ মাঠের ক্রিকেটে ফিরতে
পারবেন? -কখনো মনে হচ্ছে আমি শতভাগ ফিট, আবার যখন কাজ করতে যাচ্ছি তখন মনে হচ্ছে ৭০-৮০% ফিট। ধারণা করছি ৬০-৭০ ভাগই ফিট আছি। নেটে প্লান করেই অনুশীলন করছি, সামনে যেহেতু অনেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আছে।