শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজে ফিল্ডিংয়ের সঙ্গে বোলারদের ছন্নছাড়া বোলিংয়ে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের এশিয়া কাপ। সেই শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে। যাদের বিপক্ষে
হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছিল লাল-সবুজের দল, তাদের শিরোপা জয়ে পুরনো ক্ষতটা যেন কিছুটা দগদগে হয়ে ওঠেছে আবারও। আক্ষেপে পুড়ছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। বোর্ড
সভাপতি বলছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতা ম্যাচটা ওভাবে না হারলে হয়তো দুবাইয়ে ফাইনালের রাতটা হতে পারতো বাংলাদেশেরও। সাকিবরাও করতে পারতো শিরোপা উল্লাস। তবে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আসন্ন ট্রাই নেশন সিরিজে নতুন
করে দলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন পাপন। এ যেন সাত রাজার ধন মণিমুক্তার চাইতেও অমূল্য। যা নিয়ে নাচে-গানে উন্মাতাল লঙ্কান ক্রিকেটাররা। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের বহু অধরা ট্রফিটা যে এখন শুধুই দ্বীপরাষ্ট্রটির। অথচ আফগানদের
বিপক্ষে একপেশে হেরে আসর শুরু করেছিল এ লঙ্কানরাই। তবে প্রথম ম্যাচে হারের পর টানা পাঁচ জয়ে ষষ্ঠ শিরোপা জিতে নিলো দাসুন শানাকার দল। লঙ্কানদের শিরোপা
উল্লাস কিছুটা হলেও মন খারাপ করতে বাধ্য টাইগার সমর্থকদের। অথচ গ্রুপপর্বের সেই ম্যাচটায় জিততেই পারতো বাংলাদেশ দল। শুধু ক্যাচ মিসের খেসারত দিয়ে বিদায়
নিতে হয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। অন্য সবার মতো আক্ষেপটা লুকোতে পারেননি বিসিবি সভাপতি। পাপন বলেন, ‘ক্রিকেটে আপনাকে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। পাকিস্তান আজকে (রোববার)
ক্যাচ মিস করেছে। আমরাও মিস করেছিলাম। এ ছোটছোট ভুলগুলো যতদিন পর্যন্ত না ঠিক করতে পারবো, ততদিন এমনই থাকবে। তবে আমার ধারণা আমাদের এখন যে টিমটা আছে, অনেক ভালো।’ তবে
ব্যর্থতাই যে নতুন দিনের দিশা দেয়। পাপনের প্রত্যাশাটাও সেখানেই। সামনেই ট্রাই নেশন সিরিজ; এরপর বিশ্বকাপ। বিসিবি বসের বিশ্বাস ভুল থেকেই এবার সত্যিটা শিখবে সাকিব বাহিনী। তিনি আরো
বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওই ম্যাচটাতে না জেতার কোনো কারণ ছিল না। তখন যদি আমরা জিততাম, তাহলে আমাদেরও এই সুযোগ (শিরোপা) আসতে পারতো। বলাতো যায় না। কিন্তু সবকিছু নির্ভর করে
মাঠের পারফরম্যান্সের ওপর। তবে টিম নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই।’আর দেশে ফেরার পর নির্বাচকদের সঙ্গে আলাপ করে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল দেয়ার কথাও জানালেন নাজমুল হাসান পাপন।