সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শারজাহর দুই ম্যাচেই কন্ডিশন বুঝতে ও উইকেট পড়তে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। দিতে হয়েছিল তার চড়া মূল্য। এবার তাই ভীষণ সতর্ক দল। সোমবার (২৯ আগস্ট)
সংবাদ সম্মেলন শেষ হতেই টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদকে নিয়ে ছুটলেন বাংলাদেশের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর শ্রীধরন শ্রীরাম। আগেভাগে ম্যাচ ভেন্যুর কন্ডিশন বুঝে নেওয়া। ব্যর্থতায় ঘেরা
গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই মাঠে দুই ম্যাচেই ‘ভুল একাদশ’ গড়েছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাড়তি পেসার দরকার ছিল, দল নেমেছিল তিন স্পিনার নিয়ে। যেখানে চার পেসার খেলিয়ে সফল হয়েছিল
শ্রীলঙ্কা। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন স্পিনার দরকার ছিল, সেই ম্যাচ খেলতে নেমেছিল দুই জন নিয়ে। শারজাহর সেই মাঠেই মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার পর থেকে দল অনুশীলন করছে দুবাইয়ে। শারজাহ
সম্পর্কে নতুন করে কিছু জানার সুযোগ মেলেনি। তাই সোমবার অনুশীলন রেখেই সেখানে গেলেন শ্রীরাম। শারজাহর কন্ডিশন দেখে ঠিক করবেন পরিকল্পনা। তবে এর আগেই একাদশ ঠিক করে ফেলার
কথা জানালেন শ্রীরাম। না, কম্বিনেশন নিয়ে আমি কোনো ধারণা দিতে চাই না। কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমার খেলোয়াড়রা এটা জানে। শারজাহতে উইকেট মেলে দুই রকম। কখনও
ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়তা থাকে, কখনও স্পিনারদের জন্য। তাই সংশয়ের একটা জায়গা থাকেই। তবে সেখানে অনুশীলন করতে না পারা নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নন শ্রীরাম। অনুশীলনের জন্য দুবাই-ই তার প্রথম
পছন্দ। (ভেন্যুতে অনুশীলন করতে না পারায় কোনো সমস্যা হবে?) আমার মনে হয় না। আমরা কোন ধরনের খেলা খেলতে চাই, সে ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা আছে। শারজাহতে আগেও অনেকবার খেলেছি, আমরা জানি সেখানে কী প্রত্যাশা করা যায়। আর
শারজাহতে অনুশীলন না থাকাতে ভালোই হয়েছে। সেখানকার অনুশীলনের ব্যবস্থা খুব একটা সুবিধার না। এখানে দারুণ ব্যবস্থা। ফলে আমরা খুশি। আমাদের প্রচেষ্টা সবার সঙ্গে যোগাযোগটা ঠিক রেখে পরিষ্কার
থাকা, সবার কাছ কী চাই। খেলোয়াড়দের নিজেদের ভূমিকা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা আছে। শারজাহ যাওয়ার পর আমরা কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করব এবং হয়তো ঠিক সিদ্ধান্তটাই নেব।