শেষ ২ ওভারে লঙ্কানদের প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। এবাদত ১৯তম ওভারেই বিলি করে বসেন ১৭ রান। ছিল একটি ওয়াইড, একটি নো বলে আবার হজম করেছেন চার। ওভারে ছিল মোট দুটি চার, ছিল না কোনো ডট বল। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া
কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচ পরতে পরতে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। শেষবার যখন বাংলাদেশের দিকে হেলেছিল, তা নস্যাৎ হয়ে যায় এবাদত হোসেন চৌধুরীর
করা ১৯তম ওভারে। শেষ ২ ওভারে লঙ্কানদের প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। এবাদত ১৯তম ওভারেই বিলি করে বসেন ১৭ রান। ছিল একটি ওয়াইড, একটি নো বলে আবার হজম করেছেন চার। ওভারে ছিল মোট দুটি চার, ছিল না কোনো ডট বল।
অথচ বল হাতে নিজের প্রথম ২ ওভারে ৩ উইকেট শিকার করে এবাদতই বাংলাদেশকে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে তো পারেননি, উল্টো
অনেকে তার ১৯তম ওভারকে দাঁড় করছেন কাঠগড়ায়। তবে এই কঠিন সময়ে এবাদত পাশে পাচ্ছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। অভিষেকে এবাদত যেভাবে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন,
তাতে মুগ্ধ সাকিব। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এমন পরিস্থিতিতে বল করার অভিজ্ঞতা নেই বলেই ঐতিহাসিক মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের নায়ক এবাদত ১৯তম ওভারে খেই হারিয়ে ফেলেন,
ধারণা অধিনায়কের। তিনি বলেন, আমার ধারণা এবাদত এমন চাপের গেম আগে কখনো খেলেনি। আজ ওর অভিষেক হল। যতই বলুন ও টেস্ট খেলছে নিয়মিত, একটা-দুইটা ওয়ানডে খেলেছে, কিন্তু আমার ধারণা এমন বড় মঞ্চে
এত চাপ ওর জন্য এই প্রথম ছিল। সাকিব তাই এবাদের জন্য আরও শেখার ক্ষেত্র দেখছেন। তার ভাষায়, ওর অনেক কিছু শেখার আছে। প্রথম দুই ওভার যেভাবে বল করেছে আমাদের পুরো ম্যাচে এনে দিয়েছিল। তারপর স্বাভাবিকভাবেই
ভেবেছি আজ দিনটা ওর বা ও-ই আমাদের সবচেয়ে ভালো বোলার হবে। প্রথম ২ ওভারে ৩ উইকেট নেওয়ার পর একজন বোলারকে নিয়ে এই প্রত্যাশা করাই যায়। ছন্দ ভালো থাকবে,
ইতিবাচক অবস্থায় থাকবে, মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় চলে আসবে এমন একটা পরিস্থিতিতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হয়নি। কিন্তু আমার ধারণা ও এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে।