ফ্র্যাঞ্চাই ক্রিকেট মানেই টাকার খেলা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা ঘরে তুলতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং রংপুর রাইডার্সের মতো বড় দলগুলোকে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
বিপিএলের শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে একাধিক বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে কুমিল্লা ও রংপুর। কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ফাইনাল নিশ্চিত করার পর বলেছেন, নাফিসাকে (ফ্র্যাঞ্চজাইজি মালিক নাফিসা কামাল) ধন্যবাদ,
বিপিএলের একটা শক্তিশাল দল সাজাতে ৩০-৪০ কোটি টাকা খরচ করার জন্য। কুমিল্লার কোচের মতো একই সুরে কথা বলেছেন সিলেটকে প্রথমবার বিপিএল ফাইনালে তুলে দেওয়া সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তুজা।
মঙ্গলবার বিপিএলেরর অন্যতম শক্তিশালী দল রংপুর রাইডার্সকে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হারিয়ে প্রথমবারে মতো ফাইনালে উঠে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন,
প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লস করেই বিপিএলের দল সাজায়। আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজির লিমিটেড বাজেট ছিল। আমাদের সবচেয়ে ব্যয়বহুল খেলোয়াড় ছিল পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম। সবচেয়ে কঠিন বিষয় ছিল আমরা অনেক বিদেশির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু প্রত্যেকেই কোনো না কোনো টুর্নামেন্টে চুক্তিবদ্ধ ছিল।
তিনি আরও বলেন, আজ আমাদের দলে খেলেছে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার লুক উড। আমরা তার সঙ্গে গত ২০ দিন ধরে যোগাযোগ করে তারপর পেয়েছি। তবে হ্যাঁ কুমিল্লা এবং রংপুরের মালিকদের সঙ্গে
তো অন্যরা কেউ পারবে না। ওনারা দীর্ঘদিন বিপিএলে আছেন, স্পন্সর কাভার করতে পারেন। যে কারণে একাধিক বিদেশি দলে নিতে তাদের আর্থিকভাবে কোনো সমস্যায় পরতে হয় না।
মাশরাফি বলেন, খুব ভালো লাগছে এধরনের কম বাজেটের একটি টিম (সিলেট) ফাইনালে খেললে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা আরো মোটিভেটেড হবে। তাহলে তারা বিপিএলে দল রাখতে আরো উৎসাহিত হবেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরো কিছু
দিতে চাইবেন। প্রত্যেক ম্যাচের জন্য ৫০ হাজার ডলার মানে ৫৫ লাখ টাকা খরচ করে একজন বিদেশি ক্রিকেটারকে খেলানো আমাদের মতো দলের জন্য সহজ ব্যাপার না। এটা আসলে সবার জন্য সহজ ব্যাপার না।