তাঁর অধীনে এখনও কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ দল। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে স্প্যানিশ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার মেয়াদও শেষ দিকে। আর মাত্র দুই মাস পরই বাফুফের সঙ্গে তাঁর কাগজে-কলমে চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই কম্বোডিয়া ও
নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ বলা চলে ক্যাবরেরার শেষ পরীক্ষা। দুটি ম্যাচের ফলের ওপরই নির্ভর করছে তাঁর চুক্তি বাড়ানোর বিষয়টি। ইতিবাচক ফল এলে চুক্তি নবায়ন হবে, আর নেতিবাচক হলে বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে এ স্প্যানিয়ার্ডের।
২২ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়া এবং ২৭ সেপ্টেম্বর নেপালের মুখোমুখি হবে জামাল ভূঁইয়ার দল। এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়ার বিপক্ষে একটি আন-অফিসিয়াল ম্যাচ খেলবে লাল সবুজের দলটি। দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গতকাল রাতে ঢাকার ছাড়ার কথা
জাতীয় ফুটবল দলের। এর আগে বুধবার বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নিজের শেষ অ্যাসাইনমেন্ট প্রসঙ্গ উঠতেই সেটা এড়িয়ে গিয়ে দল নিয়ে ভাবনার কথা বলেছেন ক্যাবরেরা, ‘আগে এ দুই ম্যাচ ভালোভাবে শেষ করতে চাই। এরপর অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করব।’ দুটি ম্যাচের জন্য দল নিয়ে তিন সপ্তাহ কাজ করেছেন তিনি। যে কারণে এবার জয়ের কথাটিও
আত্নবিশ্বাসের সুরে বলেছেন বাংলাদেশ কোচ,’আমরা যথেষ্ট অনুশীলন করেছি এবং মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত। দুটি ম্যাচই আমরা জয়ের জন্য খেলব।’ পাশে বসা অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও বেশ ইতিবাচক, ‘কম্বোডিয়া ও নেপালে জয়ের জন্যই যাব আমরা। আমাদের লক্ষ্য ছয় পয়েন্ট।’ দুটি ম্যাচ জিতলে র্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি হবে বাংলাদেশের। তাই নিজেদের প্রস্তুতি এবং
প্রতিপক্ষ বিবেচনায় নিয়ে আশাবাদী জামাল, ‘গত ২০ দিন আমরা কঠিন অনুশীলন করেছি। এ রকম অনুশীলন আগে করিনি। বিশেষ করে ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। কোচ এটা নিয়ে কাজ করায় অনেক ফুটবলারের ওজন আগের চেয়ে কয়েক কেজি কমে গেছে। এই দুই ম্যাচ জিতলে র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের উন্নতি হবে।’
প্রাথমিক সদস্যের ২৭ ফুটবলার নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছিলেন কোচ ক্যাবরেরা। চোটের কারণে আগেই ক্যাম্প থেকে ছিটকে যান সোহেল রানা ও রায়হান। গতকাল ২৩ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড
ঘোষণা করেন তিনি। যেখানে জায়গায় হয়নি শাহরিয়ার ইমন ও গোলরক্ষক নাইমের। তবে যাঁদের নিয়েছেন, তাঁদের নিয়েই ভালো ফলের আশা ক্যাবরেরার, ‘তিন সপ্তাহের অনুশীলন দেখে এই দল নিয়ে আমি আশাবাদী।’