এশিয়া কাপে কাল বাংলাদেশের প্রথম আর আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ম্যাচ শারজাহ স্টেডিয়ামে। নবীর বিশ্বাস, টাইগারদের বিপক্ষেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলবেন তারা, ‘বাংলাদেশে আমরা
প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি। পিচ কেমন হবে এখনও তা জানি না। কখনও ব্যাটিং ট্র্যাক হয়, কখনও টার্নিং উইকেট দেখা যায়। বাংলাদেশও অনেক ম্যাচ খেলেছে (শারজাহ) এই উইকেটে। আমরাও প্রচুর
খেলেছি শারজাহ স্টেডিয়ামে।’আফগানিস্তান টি-২০তে ভালো দল কোনো সন্দেহ নেই। বিশ্বের যে কোনো কন্ডিশনে জিততে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলে তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সংস্করণে একটু বেশিই ভালো করে। এ বছরই ঢাকায়
দুই ম্যাচের সিরিজ ড্র করেছে ১-১ ব্যবধানে। নিরপেক্ষ ভেন্যু হলে তো কথাই নেই, বড় দলকেও টালমাটাল করে তোলেন নবীরা। শনিবার যেমন এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে
শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারাল ৫৯ বল হাতে রেখে। এই উড়ন্ত সূচনার পর স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে দলটির। যেটা কাজে লাগিয়ে জয়ের ছন্দ ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশের
বিপক্ষেও। ২০২১ সাল থেকে আবুধাবির শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামকে হোম ভেন্যু করে নিয়েছে আফগানিস্তান। শনিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানদের শারীরিক
ভাষা দেখে মনে হয়নি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলা শ্রীলঙ্কাকে রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। পুরো ম্যাচে তেমন একটা ভুল করেনি দলটি। বোলিং, ফিল্ডিং, ব্যাটিং তিন বিভাগেই বলতে গেলে নিখুঁত
পারফরম্যান্স করেছে আফগানিস্তান। লঙ্কানদের ১৯.৪ ওভারে ১০৫ রানে বেঁধে ফেলে ম্যাচ জিতে নেয় ১০.১ ওভারে। বাংলাদেশের বিপক্ষেও একই ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে চায় তারা। অধিনায়ক
মোহাম্মদ নবীর মতে, ‘আমরা অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছি, এমন না যে এটা কোনো অঘটন ছিল। আমরা এশিয়া কাপ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এগিয়েছি। এখানে বেশ আগে এসে কঠোর পরিশ্রম দিয়ে কন্ডিশনের মানিয়ে নিয়েছে। টিম কম্বিনেশনও ভালো ছিল। আমাদের অপেক্ষ এখন পরের ম্যাচের জন্য।‘