মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর রবির কাছে ২২৭ কোটি টাকা চেয়ে মামলা করেছেন আজিয়াটা লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)
মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। ঢাকা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে গতকাল সোমবার মাহতাব এই মামলা করেন। মূলত তিনি ‘অবসর-সুবিধা ও অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতি’র ক্ষতিপূরণ বাবদ এই মামলাটি
দায়ের করেছেন। রবি আজিয়াটা দেশের দ্বিতীয় শীর্ষ মোবাইল অপারেটর। মালয়েশিয়াভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আজিয়াটা গ্রুপ এর বেশির ভাগ শেয়ারের মালিক। আর রবি দেশের পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠান।
এতে রবি আজিয়াটা ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সিইও ইজাদ্দিন ইদ্রিস, বর্তমান বোর্ড চেয়ারম্যান থায়াপরান এস সাঙ্গারা পিল্লাইসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। ২০১০ সালে
মাহতাব উদ্দিন প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) পদে রবিতে যোগ দেন। ২০১৬ সালে হন সিইও। পরে ২০২১ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। মাহতাব উদ্দিনের
আইনজীবী হাসান এম এস আজিম এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, মাহতাব উদ্দিন ২০২১ সালের ২ আগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দেন, যা একই বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে কার্যকর
হওয়ার কথা। রবির পরিচালনা পর্ষদ সে বছরের ৫ আগস্ট শর্তহীনভাবে সে পদত্যাগপত্র গ্রহণের কথা এক চিঠিতে তাকে জানায়। তবে ২০২২ সালের ২২ মে রবি আজিয়াটা গ্রুপ মাহতাব উদ্দিনকে
চাকরিচ্যুত করার নোটিশ দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হঠাৎ করে রবি মাহতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের একটি আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। এই লেনদেন সম্পর্কে
আজিয়াটা গ্রুপ ও রবির বোর্ড অবগত ছিল। মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পদত্যাগের পর তারা কীভাবে আমাকে চাকরিচ্যুত করে? মূলত আমার বেতন নিয়ে তাদের সমস্যা ছিল।’ তিনি বলেন, যে লেনদেনের বিষয়ে তারা বলছে,
সেটি নিয়ে আর্থিক বিবরণীতে কোনো প্রশ্ন তোলা হয়নি। একটি স্বনামখ্যাত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে আর্থিক বিবরণীটি নিরীক্ষা করা হয়েছিল। মাহতাব উদ্দিন আহমেদ
আরও বলেন, ‘আমি আসলে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার শিকার। মূলত আমার বেতন নিয়ে তাদের সমস্যা ছিল।’ তিনি দাবি করেন, রবির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
তিনি অনেক আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। আর্থিক যে লেনদেনের বিষয়টি রবি আজিয়াটা তুলেছে, সেটা তারা প্রমাণ করতে পারবে না। মাহতাব উদ্দিনের মামলার বিষয়ে জানতে
চাইলে রবি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এ বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি। তাই এখনই বিষয়টি নিয়ে তাদের পক্ষে কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয়।