২৪ ঘন্টা খবর:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, এই বছর ইলিশের দামও ক’মেনি। কারণ দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে প্রতিবেশী দেশে পাঠানো হয়েছে। সেখানে দাম কম, অথচ আমাদের দেশে আকাশছোঁয়া। সো”মবার (১১ অক্টোবর) সাড়ে ১১টার দিকে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, বাজারে এক কেজি মোটা চালের দাম ৬০ টাকা। যা আগের চেয়ে কেজিতে বেড়েছে ৬-৭ টাকা। এক লি’টার সয়াবিন তেলের দাম ১৫০ টাকা। কিছুদিন আগেও এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকায় কেনা যেত, এখন সেটা ১৭৫ টাকা। পেঁ”য়াজের দাম মোটামুটি দ্বিগুণ
হয়ে গেছে। কোনও উৎসব বা উপলক্ষ নেই, তবু ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ টাকা ছুঁয়েছে, যা সাধারণত ১২০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে থাকে। তিনি বলেন, তেল, চিনি, পেঁয়াজে যেন বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছে, ছুঁলেই শক করে। সবজি রান্নার জন্য সামান্য ছোট চিংড়ি কি”নতেও প্রতি কেজির
দাম পড়ছে ৬০০-৭০০ টাকা। করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৬০ টাকায়, বর’বটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কাঁচামরিচের দামও
অকল্পনীয়ভাবে বেড়েছে; দামে সেঞ্চুরি পার করেছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১ মাসে গুঁড়া দুধের দাম কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা। শিশুখাদ্যের মূ’ল্যও একইভাবে বেড়ে চলেছে দিনের পর দিন। এছাড়াও ডাল, চিনিসহ নিত্য ভোজ্যসামগ্রীর দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই মূল্যবৃদ্ধি আরও বাড়তে পারে বলে
জানিয়েছেন খোদ ব্যবসায়ীরাই। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কে করবে প্রতিকার? বাজার সিন্ডিকেটের দাপট দেখে মনে হয় সরকার এবং প্রশাসন বাজার সিন্ডিকেটে পৃষ্ঠপোষক। দেশজুড়ে তারা সৃষ্টি করেছে অবিশ্বাস, অসহিষ্ণুতা এবং বিদ্বেষের আবহ। এই সরকারের পতন ছাড়া জনগণের মুক্তি আসবে না। তিনি বলেন, বর্গীরা
যেমন আগে বাংলাদেশে আসতো, লুট করতো আর চলে যেতো। এরাও ঠিক একইভাবে লুট করছে এবং বিদেশে তাদের বিত্ত তৈরি করছে এবং সেখানে দেশের স’ম্পদের পাহাড় গড়ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী নিজেরাই ব্যবসায়ী এবং এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত।