লিটন দাস-সোহানকে নিয়েই নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সফর ও বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। নিউজিল্যান্ড সফর কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা বলা কেন? এ মুহূর্তে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল নির্বাচন করতে গেলে তাদের নাম আসবে; কিন্তু তারা এশিয়া কাপ স্কোয়াডে ছিলেন না।
ঠিক ধরেছেন, বলা হচ্ছে লিটন দাস, নুরুল হাসান সোহান আর ইয়াসির আলী রাব্বির কথা। সঙ্গে হাসান মাহমুদের নামও আছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, তারাই সবাই ইনজুরির কারণে দলের বাইরে। লিটন দাস
জিম্বাবুয়ে সফরে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ে বিশ্রামে। নুরুল হাসান সোহানের বাঁ-হাতের আঙ্গুলে ফ্র্যাকশ্চারে অপারেশন হয়েছে। ইয়াসির আলী রাব্বির কোমড়ে ব্যাথা আর পেসার হাসান মাহমুদের পায়ে ব্যথা।
বলার অপেক্ষা রাখে না, ওপেনার লিটন দাস আর কিপার কাম মিডল অর্ডার নুরুল হাসান সোহান এখন অটোমেটিক চয়েজ। টিম বাংলাদেশে ওপেনার সংকট। লিটনই একমাত্র আশার আলো। আর
সোহান দেশের এক নম্বর উইকেটরক্ষক। সঙ্গে মিডল ও লেট অর্ডারে হাত খুলে খেলার সামর্থটাও আছে বেশ। তাদের দলে থাকা নিয়ে আসলে সংশয় নেই। ইয়াসির আলী রাব্বি নিজেকে খানিক দূর্ভাগা ভাবতেই পারেন।
ইনজুরি বাঁধা হয়ে না দাড়ালে হয়তো মোসাদ্দেকের মত চট্টগ্রামের এ ভারি শরীরের তরুণও নিজের জায়গা মজবুত করে ফেলতে পারতেন। তার সে সামর্থ্য আছে। তবে এবার হয়ত ইয়াসির আলী রাব্বির
ভাগ্য খুলে যেতে পারে। মুশফিকুর রহিম অবসর নেবার পর একজন বাড়তি ব্যাটারের দরকার। রাব্বি হতে পারেন সম্ভাব্য সেরা অপশন। সর্বশেষ খবর, এ মিডল অর্ডার কোমরের ব্যথা মুক্ত হয়ে ব্যাটিং অনুশীলন শুরু করেছেন;
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি সুস্থ হয়ে দলে ফিরতে পারবেন? নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাকের কথা শুনে মনে হচ্ছে, পারবেন। আজ সোমবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে নির্বাচক রাজ্জাক জানিয়েছেন, আশা করা যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড এবং বিশ্বকাপের জন্য তারা সবাই চোট কাটিয়ে উঠবে।
রাজ্জাক যোগ করেন, ‘এখনো পর্যন্ত তারা যেভাবে উন্নতি করছে এমনটাই আশা করা যায়। তবে রাজ্জাক কারো অন্তর্ভুক্তিই নিশ্চিত বলে দাবি করেননি। ফিজিওর ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।
তার ব্যাখ্যা, ‘ইনজুরির বিষয়টা আসলে আমরা কেউই আগে থেকে বলতে পারছি না। এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে হলে, ফিজিওদের উপরে নির্ভর করতে হয়। তবে তাদের তথ্য অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত আশা করা হচ্ছে সবাইকেই পাব।’