এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়ার পর বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরণ শ্রীরাম ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশেষ ক্যাম্প করতে চেয়েছেন। বিসিবি থেকেও তাকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর শ্রীরাম ঢাকা পৌঁছাবেন। এরপর ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর মিরপুরে তিনদিনের বিশেষ ক্যাম্প করাবেন। যেখানে শুধু জাতীয় দলের খেলোয়াড় নয়, বাইরে থাকা খেলোয়াড়দেরও ডাকা হবে। বাইরে থাকা
ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে টি-টোয়েন্টির জন্য মানানসই এমন কাউকে পেলে শ্রীরাম তাকে দলে নেবেন। নির্বাচকদের কাছে এমন তালিকা চেয়েছেন। সেই তালিকা প্রস্তুত হওয়াতে মিরপুরে ক্রিকেটাররাও ফিরতে শুরু করেছেন।
জানা গেছে, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ মিঠুনদের ক্যাম্পে ডেকেছেন নির্বাচকরা। এর বাইরে একাধিক তরুণ পেসার রয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের রিপন মণ্ডল রয়েছেন। রয়েছেন হাসান মুরাদের মতো দারুণ স্পিনার।
একাধিক খেলোয়াড়কে ডেকে নেওয়ার কারণ, সাম্ভাব্য সেরা ক্রিকেটারকেই যেন বিশ্বকাপের মঞ্চে নিয়ে যেতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। দলে ফেরার লক্ষ্যে আজ মিরপুরে অনুশীলন
শুরু করেছেন সৌম্য সরকার। নেট সেশনে বিগ হিটিং নিয়েই কাজ করেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ভালো কিছু করে কোচের নজরে এসে বিশ্বকাপের বিমান ধরতে চান সৌম্য।
মুঠোফোনে রাইজিংবিডিকে বলেছেন, ‘জাতীয় দলে ফেরার ভালো সুযোগ পেয়েছি। অনুশীলনে ভালো কিছু করতে পারলে কোচ নজরে নেবেন। আশা করছি ভালো কিছু হবে সামনে। আজ বিগ হিটিং নিয়ে কাজ করেছি। শুরুর দিকে ব্যাটিং যেমন হয় তেমন কাজ করেছি।’
তার সঙ্গে আজ অনুশীলনে ছিলেন কাজী নুরুল হাসান সোহান ও লিটন দাশ। ইনজুরিতে তারা দুজন এশিয়া কাপে খেলতে পারেননি। তাদেরও বিশ্বকাপ দলে ফেরার কথা রয়েছে।
দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন, ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনদিন ক্যাম্প করবেন ক্রিকেটাররা। কোচ শ্রীরাম ছেলেদের বিভিন্ন ভূমিকা দেবেন। সেভাবেই ক্রিকেটারদের পারফর্ম করতে হবে। পরীক্ষায় পাশ করলেই মিলবে বিশ্বকাপের টিকিট।
খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘কিছু নতুন ক্রিকেটারকে ডাকা হবে, নতুন বলব না, যারা প্রুভেন। দুয়েকজনকে হয়তো নতুনও থাকতে পারে, চমক থাকতে পারে। আমরা ৩০-৩১ জন খেলোয়াড়কে আমরা ডাকব। পেস বোলাররা অনেকে থাকবে সাহায্য
করার জন্য। সবাই নির্বাচনের জন্য থাকবে এটা ভাবাও ভুল হবে। যেহেতু নতুন কোচ শ্রীরাম ক্রিকেটারদের এখনও ওভাবে দেখেনি। ও যেহেতু এখন টি-টোয়েন্টিটা চালাচ্ছে। নতুন কিছু ক্রিকেটারকে দেখানোও আমরা মনে করি দরকার আছে।’
ক্যাম্প নিয়ে খালেদ মাহমুদ যোগ করেছেন, ‘বেসিক্যালি এটা সিনারিও (ম্যাচ) ক্যাম্প হবে। মিডল অর্ডার ব্যাটারদের যে ভূমিকা থাকবে, সেটা চূড়ান্ত করা। পেস বোলারদের বাউন্ডারি হাঁকানো। আমরা যেহেতু চাচ্ছি, এই ফরম্যাটে ছেলেদের
আক্রমণাত্মক করে তুলতে। আমরা দেখলাম, ১৮৩ রান করেও ডিফেন্ড করতে পারিনি, যেটা হার্টব্রেকিং খুব। বোলাররাও ডেথ ওভারে কী বোলিং করবে, তাদের জন্যও চ্যালেঞ্জ থাকবে। ব্যাটিং ও পেস বোলিং নিয়ে আমরা বেশি মনোযোগ দেবো।’
খালেদ মাহমুদ শ্রীরামের কোচিং দর্শনে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন এভাবে, ‘এটা খুব দ্রুত হয়ে যায় শ্রী-এর (শ্রীধরণ শ্রীরাম) ব্যাপারে মন্তব্য করা। তারপরও আমি খুব খুশি ও
যেভাবে কাজ করেছে এই এশিয়া কাপে। ওর ক্রিকেটের দর্শন, যেভাবে চিন্তা করে, ছেলেদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়। আমি তা পছন্দ করেছি। এটা আমার ব্যক্তিগত পছন্দের।’