ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে হোয়াইটওয়াশের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও ২-০ তে খোয়ালো বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে রক্ষা পেয়েছে মা’হমুদউল্লাহ বাহিনী। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভালো ব্যাটিং করলেও সেটি টি-টোয়েন্টি মানের হয়নি – বিষয়টি অকপটে
স্বীকার করলেন বাংলাদেশ দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটার লিটন দাস। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগেই পাওয়ার হিটারের অভাববোধ করেছিলেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। সিরিজ শেষে কোচের সঙ্গে সুর মেলালেন লিটন দাসও। অকপটেই বললেন, উ’ইন্ডিজ তারকাদের মতো চাইলেই ছক্কা
মারতে পারে না বাংলাদেশের ব্যাটাররা, যা টি-টোয়েন্টিতে বেশি প্রয়োজন। পাওয়ার হিটিংয়ে বেশ পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার গায়ানায় কাইল মায়ার্সের ৩৮ বলে ৫৫ ও নিকোলাস পুরানের ৩৯ বলে ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৫ উইকেটে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডি’জ। দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের
১৪টি ছক্কার বিপরীতে বাংলাদেশের ছয় ছিল মাত্র ছয়টি। আর বৃহস্পতিবারের ম্যাচে বাংলাদেশের পাঁচটি ছক্কার বিপরীতে উইন্ডিজ ব্যাটাররা মেরেছেন ১১টি। মায়ার্স ও পুরান দুজনেই আলাদাভাবেই পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। বিষয়টি নজরে এনে লিটন দাস বলেন, ‘ওরা জ’ন্মগতভাবে অনেক শক্তিশালী। যেকোনো বড় মাঠে
ছক্কা মেরে দিতে পারে। যেটা আমাদের দলের অনেকেই সামর্থ্যবান নয়। আমরা চাইলেও ওদের মতো ছক্কা মারতে পারি না। আমরা সবসময় ব্যাটিংয়ে নেমে চিন্তা করি চার মারার জন্য। আমাদের খেলায় দে’খবেন চারই বেশি হয়। যেটা ওদের তুলনায়… ওরা
ছয় বেশি মারে। এই পার্থক্য সবসময় থাকে।’ পাওয়ার ক্রিকেট খেলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, জানালেন লিটন দাস। ৪১ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলা এ তারকা ব্যাটার বলেন, ‘ওরা পা’ওয়ার ক্রিকেট খেলে। এটি ওদের বাড়তি সুবিধা।
যেটা আমরা খেলতে পারি না। আমার মনে হয়, এ জিনিসটাও অনেক সময় কাজ করে বোলারদের মাথায় যে একটু ১৯-২০ হলেই তো তারা মেরে দেবে।’ প্রসঙ্গত, গতকাল বৃ’হস্পতিবার গায়ানায় আগে ব্যাট করে নি’র্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হা”রিয়ে ১৬৩ রা’ন সংগ্রহ করে
বাংলাদেশ। লিটন খেলেন ৪১ বলে ৪৯ রানের ইনিংস। ৩৮ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। জবাবে ৭ রানে ব্রেন্ডন কিংকে হারালেও কাইল মায়ার্সের ৩৮ বলে ৫৫ ও অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের ৩৯ বলে ৭৮ রানের সুবাদে ১৮.২ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ উই’কেটে জিতে ২-০তে সি’রিজ নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা।