আসিফ আলির সঙ্গে দুর্ব্যবহারকারী বোলারের নামও হয়তো অনেকে জানেন না। কিন্তু সেই ফরিদ আহমেদ আসিফকে আউট করার পর আক্রমণাত্মক স্লেজিং করে উদযাপনে মাতেন।
এগিয়ে এসে কিছু একটা বলতে থাকে ঠিক তখনই আসিফ আলি মেজাজ হারিয়ে ফেলে। ঘটনার আদ্যপ্রান্ত না জেনেই প্রাক্তন আফগান অধিনায়ক গুলবেদিন নাইবের চাওয়া আসিফ আলিকে যেন নিষিদ্ধ করা হয় এশিয়া কাপ থেকে।
গুলবেদিন নাইব নেই আফগানদের এশিয়া কাপ মিশনে। দলের বাইরে থেকেই গত রাতের তুলকালাম কান্ডে তিনি চটেছেন। আসিফকে এই এশিয়া কাপে তিনি আর দেখতে চান না।
গুলবেদিন নাইব তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে আইসিসি ও এসিসিকে ট্যাগ দিয়ে লিখেছে
এটি আসিফ আলির চরম পর্যায়ের বোকামি এবং টুর্নামেন্টের বাকি অংশ থেকে তাকে নিষিদ্ধ করা উচিত, যে কোনো বোলারের উদযাপন করার অধিকার আছে কিন্তু এমন শারীরিক আচরণ মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
ঘটনা, পাকিস্তানের ইনিংসের ১৯তম ওভারে। আফগান পেসার ফরিদ আহমেদ পাকিস্তানি ব্যাটার আসিফ আলিকে আউট করে উগ্র উদযাপন করেন, তার সামনে যেয়ে। তাতেই বিরক্ত হয়ে যান আসিফ। প্রথমে ফরিদকে ধাক্কা দেন, তারপর ব্যাট উঁচিয়ে তাঁর দিকে এগিয়ে যান।
ফরিদ যখন আসিফ আলির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছিল, তখন ড্রেসিংরুম থেকে হাসান আলি রেগে দৌড়ে মাঠে আসেন। থামানোর চেষ্টা করেন।
পাকিস্তানের কাছে শেষ ওভারে পরাজয়ের পর আফগানিস্তানের ক্রিকেট ভক্তরা স্টেডিয়ামে ভাঙচুর চালায়, পাকিস্তানি সমর্থকদের দিকে চেয়ার ছুঁড়ে মারে। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণের বাইরেও দুই দেশের সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানই জিতে নেয় ম্যাচ। নাসিম শাহ শেষ ওভারে পরপর দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দেন পাকিস্তানকে। এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল তারা।