অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপের আগেই ক্রিকেটে একাধিক নিয়ম নতুন আসছে। বলে লালা মাখানো স্থায়ী করেছে আইসিসি। রান আউট, ক্যাচ আউটের পর ব্যাটার নির্ধারণসহ এসেছে নয়টি নতুন নিয়ম। আগামী ১ অক্টোবর থেকে যার অধিকাংশ বাস্তবায়ন হবে।
স্ট্রাইকে নতুন ব্যাটার: এখন থেকে ক্যাচ আউটের পর নতুন ব্যাটার স্ট্রাইকে থাকবেন। ক্যাচ ধরার আগে ব্যাটার ক্রিজের অপর প্রান্তে চলে গেলেও নতুন ব্যাটারকেই স্ট্রাইকিং এন্ডে দাঁড়াতে হবে। ওভারের শেষ বলে ক্যাচ হলে নতুন ব্যাটার থাকবেন নন-স্ট্রাইকে।
মানকড় পদ্ধতিতে রান আউট: নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে বোলার তাকে রান আউট করতে পারবেন। এটা আর খেলোয়াড়ি চেতনার বিরোধী নয়। আইসিসির নির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত এমনই।
রান আউটের নিয়ম বদল: স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটার সামনে বেরিয়ে এলে এত দিন বোলার বল ছুড়ে রান আউট করতে পারতেন, এখন সেটা পারবেন না। এখন তেমন কিছু হলে ‘ডেড বল’ হবে।
নতুন ব্যাটার নামার সময় নির্ধারণ: টেস্ট ও ওয়ানডেতে একজন ব্যাটার আউটের পর নতুন ব্যাটার মাঠে নামতে ২ মিনিট সময় পাবেন, আগে সেটা ছিল ৩ মিনিট। টি২০-এর ক্ষেত্রে ৯০ সেকেন্ড থাকছে।
পিচের বাইরে ব্যাট করলে ডেড বল: একজন ব্যাটার যদি ব্যাটিং করার সময় পিচের বাইরে চলে যান, তাহলে সেটাকে ‘ডেড বল’ হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে কোন বল যদি ব্যাটারকে পিচের বাইরে যেতে বাধ্য করে, তাহলে সেটাকে ‘নো’ বল ধরা হবে।
বল করার সময় নড়াচড়া: বোলিংয়ের সময় যদি কোন ফিল্ডার জায়গা বদল করেন কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে নড়াচড়া করেন, তাহলে পেনাল্টি হিসেবে ব্যাটিং সাইডকে ৫ রান দেওয়া হবে। বলটিকেও ‘ডেড বল’ ধরা হবে।
ওভার রেটের হিসাব ওয়ানডেতেও: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারলে ৩০ গজের ভেতর একজন বাড়তি ফিল্ডার রাখার নিয়ম এত দিন ছিল শুধু টি২০ ফরম্যাটে। বিশ্বকাপ
সুপার লিগ ২০২৩-এর পর থেকে ওয়ানডেতেও এই নিয়ম চালু হবে। বলে লালা লাগানো নিষেধ: করোনার মধ্যে বলে লালা লাগানো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ওই নিষেধাজ্ঞা স্থায়ী করলো আইসিসি।
হাইব্রিড পিচ: এত দিন শুধু মেয়েদের টি২০ ক্রিকেট হাইব্রিড পিচে খেলার নিয়ম ছিল। এখন থেকে ছেলেদের ক্রিকেটেও (শুধু সাদা বলের ক্রিকেট) হাইব্রিড পিচ ব্যবহারের অনুমতি দিল আইসিসি। প্রাকৃতিক ঘাস ও কৃত্রিম টার্ফের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় হাইব্রিড পিচ।