নিয়ম অনুযায়ী কোনো ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের অধিনায়ক কিংবা অন্যান্য ক্রিকেটাররা। এ সময় প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান রেখেই কথা বলেন প্রেস কনফারেন্স করতে আসা ক্রিকেটাররা। কিন্তু লঙ্কান অধিনায়ক
শানাকার কথা নিশ্চয়ই কারোরই ভালো লাগার কথা নয়। আফগানিস্তানের কাছে হারের পর বাংলাদেশকে নিয়ে লঙ্কান অধিনায়ক বলেন, বাংলাদেশের সাকিব-মুস্তাফিজ ছাড়া তেমন কোনো বিশ্ব মানের খেলোয়াড়
নেই। বাংলাদেশের মতো দলকে নিয়ে শানাকার এমন মন্তব্যকে অনেকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের অনুকরণ হিসেবেই দেখছেন। ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে আবার শানাকার এ মন্তব্যকে রীতিমতো অপমান হিসেবেই দেখছেন।
কিন্তু এখন কথা হচ্ছে বাংলাদেশ কি পারবে এ অপমানের জবাব দিতে? এদিকে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গতকাল টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বলছিলেন, ‘হারতেই পারি, তবু মেরে খেলে হারব।’ সেটা না করে কেউ স্বার্থপরের মতো ব্যাটিং
করলে পরিণতিতে দল থেকে বাদও পড়তে হতে পারে, মাহমুদের কথায় ধমকের সুর। ক্রিকেটারদের সামর্থ্য ও দক্ষতা রাতারাতি বদলানো সম্ভব নয়। তবে ক্রিকেটীয় চাতুর্যে উন্নতি আনা সম্ভব। সম্ভব ভাবনার জগৎটা পাল্টে ফেলা। সবাই ক্রিকেটারদের মানসিকতায় সে বদলই দেখতে চাইছেন। আর সেটা শুরু হবে এশিয়া কাপ দিয়ে,
চাওয়াটা ছিল এমনই। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সেই চেষ্টার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। বাংলাদেশ দল আজ আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে নিজেদের বদলে ফেলার। দুই দলের জন্যই চাপ সামলানোর ম্যাচটা কে কীভাবে সামলায়, তাতেই ঠিক হবে ম্যাচের ফলাফল। মাহমুদও
বলছিলেন, ‘প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাও হেরেছে। ওরাও চাপে আছে, শুধু আমরা নেই। আমরা যেহেতু এই ধরনের উইকেটে অনুশীলন করেছি, দুবাইয়ের উইকেটে মনে হয় না আমাদের খুব একটা ঝামেলা হবে। কিন্তু কালকের (আজ) ম্যাচটা
স্নায়ুচাপের। যে দল চাপ সামলে খেলতে পারবে, তাদের সম্ভাবনাই বেশি থাকবে। স্কিল, ট্যাকটিক বা টেকনিক-এগুলো নয়, কালকের খেলাটা হবে মানসিকতার লড়াই।’শানাকার ওই মন্তব্যের জবাব দিতে
গিয়ে মাহমুদের পাল্টা আঘাত, ‘বাংলাদেশের সাকিব আর মোস্তাফিজ ছাড়া বোলার নেই। কিন্তু আমি তো শ্রীলঙ্কা দলে কোনো বোলারই দেখি না। আমাদের তবু দুজন বোলার আছে। তাদের সাকিব আর
মোস্তাফিজের মানেরও কোনো বোলার নেই।’ প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাও হেরেছে। ওরাও চাপে আছে, শুধু আমরা নেই। আমরা যেহেতু এই ধরনের উইকেটে অনুশীলন করেছি, দুবাইয়ের উইকেটে মনে হয় না আমাদের খুব একটা ঝামেলা হবে